সিরিজ শুরু দিন গত শুক্রবার নিউ জিল্যান্ড হুট করেই ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানে খেলবে না তারা। নিরাপত্তা শঙ্কা দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয় নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। তখনই শঙ্কা জাগে, এর প্রভাব পড়বে আগামী মাসে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরে। কয়েকদিন সময় নিয়ে গত সোমবার ইসিবিও সফর প্রত্যাহারের কথা জানায়।
তবে ইংলিশ বোর্ড তাদের বিবৃতিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা সরাসরি উল্লেখ করেনি। বরং তারা বলেছে এই অঞ্চলে ভ্রমণ নিয়ে দুর্ভাবনা ও কোভিড পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ না বাড়ানোর কথা।
টার্নার পরিষ্কার করে দিয়েছেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা ছিল না ইংল্যান্ড সরকারের। মঙ্গলবার টুইট করে তিনি বলেন, দেশটির ইংলিশ হাইকমিশন এই সফরের পূর্ণ সমর্থনে ছিল।
“অক্টোবরে পাকিস্তান সফরে ইংল্যান্ড আসবে না, এই জন্য আমি ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা ক্রিকেটারদের কল্যাণে ইসিবির নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত, যারা ব্রিটিশ সরকার থেকে স্বাধীন। ব্রিটিশ হাইকমিশন এই সফরকে সমর্থন করেছিল। নিরাপত্তা ইস্যুতে এর বিরুদ্ধে পরামর্শ দেয়নি। পাকিস্তানে ভ্রমণের জন্য আমাদের পরামর্শ পরিবর্তন হয়নি।”
এই সফর দিয়ে ১৬ বছর পর পাকিস্তান খেলতে আসার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। মাঝের দীর্ঘ সময়ে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই দেশটিতে খেলা থেকে বিরত ছিল ওয়ানডের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার পর দুই বোর্ডের মধ্যে পাকিস্তান সফর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড চলতি বছর ছোট্ট এই সফরের জন্য সম্মত হয়।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে ২০২২ সালে পাকিস্তানে সফরের কথা রয়েছে ইংল্যান্ডের। আগামী বছরের সফরটিকে আলোর মুখ দেখাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার কথা বললেন টার্নার।
“পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর সমর্থক আমি। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরের জন্য আমি আগে থেকেই প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। পিসিবির সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা এর সমর্থনে কঠোর পরিশ্রম করেছে।”