সবশেষ ২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল নিউ জিল্যান্ড। স্বাগতিকদের বিপক্ষে সেবার হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল তারা। ১৮ বছর পর গত ১১ সেপ্টেম্বর আবার পাকিস্তানে পা রাখে দলটি। বোর্ডের পক্ষ থেকে পাঠানো নিরাপত্তা দলের সবুজ সংকেতের পরই দেশটিতে সফরের সিদ্ধান্ত নেয় কিউইরা। সেখানে গিয়ে তিনটি ট্রেনিং সেশনও করে তারা।
প্রস্তুত ছিল সবকিছু, অপেক্ষা ছিল কেবল মাঠে নামার। কিন্তু সেই সময়ই আসে সিরিজ বাতিলের ঘোষণা। প্রথম ওয়ানডে শুরুর দিন গত শুক্রবার হুট করেই নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট নিরাপত্তা শঙ্কা দেখিয়ে নেয় এই সিদ্ধান্ত।
নিউ জিল্যান্ডের এমন অন্তিম সময়ে সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্তে ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে যায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। হতাশা প্রকাশ করেন পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান রমিজ রাজাসহ অনেক ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।
বর্তমানে পাকিস্তান ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে নিউ জিল্যান্ড। সেখান থেকেই মঙ্গলবার ল্যাথাম বললেন তার আক্ষেপের কথা।
“সিরিজ বাতিল হওয়া স্বাভাবিকভাবেই তাদের (পাকিস্তান ও তাদের সমর্থক) জন্য খুবই হতাশার। এটা এমন একটা সিরিজ ছিল, যেটা নিয়ে তারা গর্বিত ছিল। ম্যাচের আগের দিন বাবরের (আজম) সঙ্গে ক্যাপ্টেন্স রাউন্ড করার সময় আমার মনে আছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (ঘরের মাঠে) ও আমাদেরকে এখানে পেয়ে সে কতটা খুশি ছিল।”
“সে খুবই রোমাঞ্চিত ছিল। ১৮ বছর পর সেখানে খেলতে যাওয়া নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত ছিল। এই সফরের অংশ হওয়া ছিল বিশেষ কিছু, কিন্তু এখন সব বদলে গেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে খুব দ্রুতই কাজ করছিল নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। সিদ্ধান্তের (সিরিজ বাতিল) পর আমরা যখন সেখানে ছিলাম, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তখন দারুণভাবে কাজ করেছে। তারা আমাদের হোটেলে নিরাপদে রেখেছিল এবং আমাদের এর জন্য তাদের ধন্যবাদ দিতেই হবে।”
নিউ জিল্যান্ডের সিরিজ বাতিলের প্রভাব ভালোভাবেই পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। সোমবার ইংল্যান্ডও তাদের পুরুষ ও নারী দলের আগামী মাসের পাকিস্তান সফর বাতিল করেছে।