মিরপুরের সেন্টার উইকেটে মুশফিক-তামিমের ব্যাটিং ঝালাই

একজনের দৃষ্টি ওমানে, আরেকজনের নেপালে। একজন খেলতে যাবেন বিশ্বকাপে, আরেকজন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। গন্তব্য ভিন্ন হলেও দুজনের লক্ষ্য একই, পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের তৈরি করা। সেই চেষ্টায় নিজেদের ব্যাটিং শাণিত করার লড়াই শুরু করলেন মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2021, 10:11 AM
Updated : 19 Sept 2021, 03:10 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে সোমবার সকালে লম্বা সময় ব্যাটিং অনুশীলন করেন মুশফিক ও তামিম। নেট বোলারদের পাশাপাশি অনুশীলনে দুজনকেই বোলিং করেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন।

সকালে আগে মাঠে নামেন মুশফিক। শুরুতে মাথা নিচু করে স্রেফ সোজা ব্যাটে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর উদ্ভাবনী ও আগ্রাসী বিভিন্ন শট খেলতে থাকেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গোটা দলের ইনিংসের দৈর্ঘ্য সাধারণত ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। মুশফিক এ দিন নেটে কাটান প্রায় দেড় ঘণ্টা!

সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সিরিজ একদমই ভালো কাটেনি মুশফিকের। ৫ ইনিংসে কেবল ৩৯ রান করতে পারেন তিনি মাত্র ১৩ গড় ও ৫২ স্ট্রাইক রেটে। গোটা সিরিজে তার ব্যাটিংয়ে অস্বস্তিও ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনিতে ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে বরাবরই তিনি দলের বড় ভরসা হলেও এই সিরিজে একটুও স্বচ্ছন্দে ব্যাট করতে পারেননি। বিশ্বকাপের আগে তাই নিজেকে ফিরে পাওয়ার অভিযান চলছে তার।

প্রস্তুতিতে ফাঁক না রাখতেই আগামী সপ্তাহে হাই পারফরম্যান্স দলের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচের সিরিজের দুটি ম্যাচ খেলবেন তিনি চট্টগ্রামে।

তামিম হাঁটুর চোট কাটিয়ে ব্যক্তিগতভাবে টুকটাক অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন নানা জায়গায়। মিরপুরে ব্যাটিং অনুশীলন করলেন তিনি লম্বা সময় পর।

চোটের কারণে বাংলাদেশের সবশেষ তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি খেলতে পারেননি। গত জুনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগ থেকে চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ার পর এই সংস্করণে আর খেলা হয়নি তার। নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়ার আগে তাই নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক গত কিছুদিনে আলোচনায় ছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে। বিশ্বকাপ না খেললেও নেপালে খেলতে যাওয়া নিয়ে কদিন আগে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তামিম।

“এই টুর্নামেন্ট আমার কাছে আসলে ছিল বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। বিসিবির মেডিকেল বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আগে থেকেই সেভাবে ঠিক করে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এতদিন মাঠের বাইরে থাকার পর বিশ্বকাপের আগে এখানে কিছু ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো প্রস্তুতি হবে।”

“এখন যেহেতু বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না, আমি যাচ্ছি মূলত কমিটমেন্ট রাখতে। ওদেরকে কথা দিয়েছিলাম, খুব আশা নিয়ে তারা অপেক্ষা করছে। আমাদের মেডিকেল বিভাগের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার পায়ের অবস্থা বোঝার একটা ভালো সুযোগ হবে এই লিগে।”

নেপালের এই টুর্নামেন্ট শুরু আগামী শনিবার। তামিম ঢাকা ছাড়বেন বৃহস্পতিবার রাতে। সেখানে গিয়ে প্রস্তুতির সুযোগ তেমন নেই, এখান থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছেন। নেটে এ দিন তার ব্যাটিংয়েও ছিল টি-টোয়েন্টির মেজাজ। প্রথম বল থেকেই শট খেলার অনুশীলন করেন। ৫০ মিনিটের সেশনের প্রায় পুরোটাই ডাউন দা উইকেটে খেলা, লফটেড শট, ইনসাইড আউট, স্লগ সুইপ, এরকম নানা আগ্রাসী শটের অনুশীলন করেন।

পরে নিজের ফেইসবুক পাতায় ব্যাটিংয়ের ছবি দিয়ে তিনি লিখেন, “দীর্ঘদিন পর আবার নেটে…।”

নেপালের টুর্নামেন্ট থেকে ফিরে জাতীয় লিগ খেলে তামিম প্রস্তুতি নেবেন নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য।