চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিন ২০৩ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। জিম্বাবুয়ে টেস্টের আরেক সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। ‘এ’ দল প্রথম দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ২৬০ রান তুলে।
কোভিড পরিস্থিতিতে ‘এ’ দল ও এইচপি দলের বিদেশ সফর কিংবা বিদেশি দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা সম্ভব না হওয়ায় নিজেদের মধ্যে দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি একদিনের ম্যাচের এই সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। ‘এ’ দলে আছেন মুমিনুল হকসহ টেস্ট দলের বেশ কজন ক্রিকেটার। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল অবশ্য পারিবারিক কারণে প্রথম ম্যাচে খেলছেন না।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ‘এ’ দলের শুরুটা ভালো হয়নি। ষষ্ঠ ওভারেই পেসার সুমন খানের বলে বোল্ড হয়ে যান সাইফ হাসান। গত জুলাইয়ের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টেও তেমন ভালো করতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪৩। এবার করলেন ১৫।
এরপরই ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত। সাদমানকে সঙ্গী করে এগিয়ে যান তিনি। দুজনের ব্যাটে ১ উইকেটে ৮৯ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় দল। বিরতির পর সাদমান ফিফটি পূর্ণ করেন ১১৯ বলে। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি তিনি। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি। ১৩৩ বলে ৫টি চারে গড়া তার ৫৮ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১২৩ রান।
সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। কিন্তু কাছাকাছি গিয়ে মাহমুদুল হাসানের বলে তানজিদকে ক্যাচ দেন তিনি। ৩০২ মিনিট উইকেটে কাটিয়ে ২০৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তার ৯৬ রানের ইনিংসটি।
দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন ইরফান শুক্কুর ও মুনিম শাহরিয়ার। ৮৩ বলে ৩টি চারে ২৮ রানে অপরাজিত আছেন শুক্কুর। ৪৩ বলে ১৫ রানে ব্যাট করছেন মুনিম।
এইচপি দলের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মাহমুদুল, সুমন, রেজাউর ও হাসান মুরাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৬০/৫ (সাইফ ১৫, সাদমান ৫৮, শান্ত ৯৬, মিঠুন ৯, ইয়াসির ২১, শুক্কুর ২৮*, মুনিম ১৫*; তানজিম ১৪-৩-৩৬-০, তানভির ২২-৫-৪৫-০, মাহমুদুল ১০-২-২৪-১, সুমন ১৬-৬-৪২-১, রেজাউর ১৫-০-৬৩-১, মুরাদ ১৩-৪-৪০-১)