নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে কেবল একটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পান তাসকিন। ওই ম্যাচে প্রথম স্পেলে দারুণ গতিময় ও আগ্রাসী বোলিং করে ২ ওভারে রান দেন কেবল ৭। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ২ ওভারে হজম করেন ২৭ রান।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পাননি একটি ম্যাচেও। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে একটি টি-টোয়েন্টিতে ভালো বোলিং করে ৪ ওভারে রান দেন ২৮। পরের ম্যাচেই ২ ওভারে দেন ২৮। বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সফরেও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে তিনি ছিলেন খরুচে। এক ম্যাচে ৩.৫ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৪৯, আরেকটিতে ২ ওভারে ২৪।
অন্যান্য সংস্করণে ভালো ছন্দে আছেন বলে তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই পেয়ে গেছেন তিনি। বিসিবিতে বুধবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, বিশ্বকাপে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবছেন তিনি।
“আসলে প্রস্তুতির জন্য আমরা ১০ দিন পাচ্ছি এবং কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচও পাব, হয়তো তিনটার মতো। যে রকম কন্ডিশনই হোক, সেরকম পরিকল্পনার প্রয়োগ করতে হবে। যখন কাটার কম ধরে, ইয়র্কার বা লেংথ বলের প্রয়োগটা তখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।”
“আইসিসি ইভেন্ট, অবশ্যই ফ্ল্যাট ট্র্যাক বা স্পোর্টিং উইকেট হবে। চ্যালেঞ্জিং হবে বোলারদের জন্য। তবে একই সময়ে প্রয়োগটা ভালোভাবে করতে পারলে, ভালো করার সুযোগও থাকবে।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি খেলতে পারেননি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করলেও পরে ছিটকে যেতে হয় ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনের কারণে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়ায়। দীর্ঘ বিরতির পর আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে ফেরা নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ২৬ বছর বয়সী পেসার।
“আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি যে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছি এবার। খুবই রোমাঞ্চিত আমি। ওমানে এর আগে আমার কখনও খেলতে যাওয়া হয়নি। এমনকি দুবাইতেও যে ইভেন্টগুলো হয়েছে, আমি এখনও পর্যন্ত ম্যাচ খেলিনি। আমার জন্য ওমান ও দুবাইতে খেলাটা একদম নতুন হবে, যদি সুযোগ হয় (ম্যাচ খেলার)। আমি রোমাঞ্চিত, একই সময়ে চাই ভালো কিছু উপহার দিয়ে ম্যাচ জেতাতে।”
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ প্রথম রাইন্ডের ‘বি’ গ্রুপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৭ অক্টোবর।