কোভিড পরিস্থিতিতে ‘এ’ দল ও এইচপি দলের বিদেশ সফর কিংবা বিদেশি দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা সম্ভব না হওয়ায় নিজেদের মধ্যেই সিরিজ আয়োজন করছে বিসিবি। চট্টগ্রামে দুটি চারদিনের ম্যাচ ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে দুই দল। প্রথম চারদিনের ম্যাচ শুরু বৃহস্পতিবার।
‘এ’ দলে রাখা হয়েছে মুমিনুলসহ টেস্ট দলের বেশ কজন ক্রিকেটারকে। প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারলেও মুমিনুল খেলবেন পরের চারদিনের ম্যাচে। একদিনের ম্যাচের সিরিজেও খেলবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এমনিতে টেস্ট দলের অধিনায়কের ‘এ’ দলে খেলার ঘটনা বিরল। তবে বাস্তবতার কারণেই সিরিজটি খেলতে মুখিয়ে মুমিনুল। জিম্বাবুয়ে থেকে টেস্ট খেলে ফেরার পর গত দুই মাসে কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি তিনিসহ টেস্ট দলের কয়েকজনের। স্রেফ জিম আর ব্যক্তিগতভাবে ব্যাট-বলের তুকতাক করেই কাটছে সময়। ম্যাচ খেলার জন্য হাপিত্যেশ করছেন তারা।
নভেম্বরের মাঝামাঝি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরপরই বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু হবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের অভিযান।
পাকিস্তান সিরিজের আগে যদিও জাতীয় লিগের কয়েক রাউন্ড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মুমিনুল বললেন, যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে পারাই হবে পাকিস্তান সিরিজের জন্য ভালো প্রস্তুতি।
“আমার তো এখন কাজ নেই। আমরা অনেকেই অনেক দিন ধরে খেলার ভেতরে নেই। সেদিক থেকে ম্যাচ অনুশীলনের ভালো সুযোগ এই সিরিজে। সামনে যদিও জাতীয় লিগ আছে। তবে এখন থেকেই খেলার মধ্যে থাকা হলো।”
“আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়, ঘরোয়া ক্রিকেট হলে প্রস্তুতিটা ভালো হয়। মাঠে থাকার একটা ফিল থাকে, এটা দরকার হয়। চার দিনের ম্যাচ কিন্তু ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টির মতো নয় যে একটি ম্যাচ খেলেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমে পড়া যায়। এখানে লম্বা ইনিংস খেলা, লম্বা সময় ব্যাটিং-বোলিং করার ব্যাপার থাকে। সঙ্গে ফিল্ডিং, লম্বা সময় মাঠে থাকা, এসবে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারও থাকে। এই সিরিজটি তাই ভালো একটি সুযোগ।”
নিজেদের মধ্যেই এমন ম্যাচ বা সিরিজ আদৌ কতটা কাজে দেবে, লড়াইয়ের ঝাঁঝ কতটা থাকবে, এসব নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকেই। তবে মুমিনুলের কোনো সংশয় নেই। সামগ্রিক দিক থেকেও এই সিরিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
“দেশের ক্রিকেট এখন আর আগের মতো নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন আমি খেলি, দেখতে পাই কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেট বলেন বা এসব ম্যাচ, হাই-ইনটেনসিটি থাকবে অবশ্যই। আগের কালচার এখন আর নেই। সবাইকে বলে দেওয়া আছে। এছাড়া সবাই জানে নিজেরাও।”
“এইচপির ছেলেদের জন্য এটা বড় সুযোগ। ‘এ’ দলে অনেক টেস্ট বোলার, জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান-বোলার খেলছে। তাদের বিপক্ষে রান করলে বা বল হাতে ভালো করলে সবার মনে থাকবে। নির্বাচকরাও আলাদা করে বিবেচনা করবে তারা। ওদের আত্মবিশ্বাসের জন্যও খুব ভালো হবে। আমাদের যারা পারফর্ম করবে, তারাও পাকিস্তান সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে।”