৪১ বছর বয়সে দলে ফিরেই অবসরের ঘোষণা ডেসকাটের

৪১ বছর বয়সে বিশ্বকাপ দলে ডাক, ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। নতুন এই শুরু নিশ্চিত হওয়ার পরদিন শেষের ঘোষণাও দিয়ে দিলেন রায়ান টেন ডেসকাটে। নেদারল্যান্ডসের অলরাউন্ডার ও ইংলিশ কাউন্টি এসেক্সের কিংবদন্তি জানিয়ে দিলেন, এই বছর শেষেই বিদায় জানাবেন সব ধরনের ক্রিকেটকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2021, 04:12 AM
Updated : 12 Sept 2021, 10:09 AM

ডাচ বংশোদ্ভূত ডেসকাটের জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকায়। স্বপ্ন দেখতেন তাদের হয়েই খেলার। ২০০৩ সালে একটি প্রাক-মৌসুম ম্যাচে ইংলিশ গ্রেট গ্রাহাম গুচ তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রস্তাব দেন এসেক্সে আসার। বাকিটা যাকে বলে, ইতিহাস।

কাউন্টি দলটির হয়ে সব মিলিয়ে ৫৫৪ ম্যাচ খেলেন তিনি। রান করেন ১৭ হাজারের বেশি, মিডিয়াম পেসে উইকেট ৩৪৮টি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন তার শেকড় নেদারল্যান্ডসের হয়ে। খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও ডাচদের হয়ে স্মরণীয় সব পারফরম্যান্স আছে ডেসকাটের। ৩৩ ওয়ানডে খেলে ৫ সেঞ্চুরিতে তার রান ১ হাজার ৫৪১, ব্যাটিং গড় ৬৭। হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার এই গড় ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উইকেট ৫৫টি, চার উইকেট তিন ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে ২২ ম্যাচে ৫৩৩ রান ৪৪.৪১ গড় ও ১৩৩.২৫ স্ট্রাইক রেটে। উইকেট ১৩টি।

২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি করেন তিনি, উইকেট নেন ৭টি। ওই বিশ্বকাপের পর নানা টানাপোড়েনে দীর্ঘ ৭ বছর আর খেলেননি নেদারল্যান্ডসের হয়ে। ২০১৮ সালে লর্ডসে একটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে আবার ফেরেন। পরে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আবার ডাচদের হয়ে মাঠে নেমে ৯ ম্যাচে ২৩৩ রান করেন ৪৬.৬০ গড় ও ১৩৬.২৫ স্ট্রাইক রেটে।

ওই আসর শেষেই বলেছিলেন, আরেকটি বিশ্বকাপ অন্তত খেলতে চান। তার সেই আশা পূর্ণ হচ্ছে এবার। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাকে রেখেছে ডাচরা। এই টুর্নামেন্টই হয়ে থাকবে তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষ আসর।

২০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৯ সেঞ্চুরিতে তার রান ১১ হাজারের ওপর, উইকেট ২১৪টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪৩.৪২ গড়ে রান ৬ হাজারের বেশি, উইকেট ১৮৯টি। টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩.৫৮ স্ট্রাইক রেটে রান সাড়ে ৭ হাজার, উইকেট ১১৪ টি।

এসেক্সের হয়ে তিনি জিতেছেন বেশ কিছু শিরোপা। ২০১৬ সালে কাউন্টি দলটির নেতৃত্ব পান তিনি। তার অধিনায়কত্বে ডিভিশন টু জিতে ডিভিশন ওয়ানে উঠে আসে দল। পরের বছর তার নেতৃত্বে ডিভিশন ওয়ানের শিরোপাও জিতে নেয় এসেক্স, যা ছিল ২৫ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। দুই বছর পর আরেকবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন হয় তারা ডেসকাটের নেতৃত্বেই।