তার সঙ্গে একই ভূমিকায় থাকবেন জাস্টিন স্যামন্সও, যিনি শ্রীলঙ্কা সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন।
সাবেক সহকারী কোচ ইনক এনকুয়ের শূন্যতা পূরণ করবেন এই দুজন। এনকউইর পদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাউকে খুঁজছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুমিনি-স্যামন্স দুজনই বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক কোচিং সেটআপের অংশ। দুমিনিকে সম্প্রতি জোহানেসবার্গ-ভিত্তিক দল লায়ন্সের ব্যাটিং বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, যা কোচিংয়ে তার প্রথম কাজ। দলটির সঙ্গে আগে কাজ করা স্যামন্স নর্থ ওয়েস্ট প্রদেশের কোচ।
এই দুজনের থেকে দল ভালো কিছু পাবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ।
“জাস্টিন আমাদের চলমান শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম অংশে দলের সঙ্গে কাজ করেছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে এরই মধ্যে তার একটি ভালো কাজের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”
“জেপি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য খুবই মানানসই। খেলোয়াড় হিসেবে তার রেকর্ডই তার হয়ে কথা বলে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই সে বিশেষ কিছু মান যোগ করবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো কোচিং স্টাফের মধ্যে থাকবেন প্রধান কোচ মার্ক বাউচার, বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট (যিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় শ্রীলঙ্কা সফরে যাননি), ফিল্ডিং কোচ জাস্টিন অনটং, ডুমিনি ও স্যামন্স। শেষ দুজন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে পালন করবেন।
২০১৯-২০ মৌসুমে স্বল্প মেয়াদে সাবেক অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস কাজ করার পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ নেই। পরে নিল ম্যাকেঞ্জিকে হাই পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্টে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক এই ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব বিস্তৃত জাতীয় পুরুষ, নারী ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাশাপাশি ডেভেলপমেন্ট পাইপলাইন পর্যন্ত। পুরুষ দলের সঙ্গে তিনি কখনও ভ্রমণ করেননি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বৃহস্পতিবার দল ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জায়গা হয়নি ফাফ দু প্লেসি ও ইমরান তাহিরের। আগামী ২৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ যাত্রা।