বিসিবি সভাপতি যদিও বলছেন, প্রত্যাশিত প্রস্তুতি দল নিতে পারেনি নানা বাস্তবতার কারণে। তারপরও তিনি আশা ছাড়ছেন না। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, সাকিবের কথায় তিনি আশার আলো দেখছেন।
“আমাদের যা যা পরিকল্পনা মাথায় ছিল অরিজিনালি, সেটা আমরা করতে পারিনি। অনেক দেশ করতে পেরেছে। একটা সমস্যা ছিল আমাদের দেশে কাউকে আনা কিংবা অন্য দেশে গিয়ে আমাদের খেলা। (কোভিডের) প্রথম এক বছর তো গেছে প্যানিকড, খেলাধুলা নিয়ে কিছুই ছিল না। সব মিলিয়ে আমি বলব না যে প্রস্তুতি খুব একটা ভালো হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তারপরও যতটুকু করতে পেরেছি আমি মনে করি, কিছুটা করতে পেরেছি এবং সেটা ভালোভাবে করেছি।”
“সাকিব আমাকে বলেছে, আমাদের ভালো সুযোগ আছে এবার। সাকিবের মতো খেলোয়াড় যখন এমন কথা বলে, তার মানে দলের প্রতিও একটা বিশ্বাস আছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।”
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের আগে দেশের মাঠে গত মাসে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। তার আগে সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে জিম্বাবুয়ে সফরেও। বিসিবি সভাপতির ধারণা, এই জয়গুলিই হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার জ্বালানি।
“জেতাটা দরকার ছিল আত্মবিশ্বাসের জন্য। যে অবস্থায় ছিলাম, সেখান থেকে বিশ্বকাপে গেলে আরও খারাপ হতো। টানা তিনটি সিরিজ জয় ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। সেদিক থেকে এই তিনটি সিরিজ জয় দারুণ কাজে দেবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয় যে কোনো ফরম্যাটে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয় টি-টোয়েন্টিতে, সবই একেকটি অর্জন।”