চলে গেলেন আম্পায়ার নাদির শাহ

লাইফ সাপোর্ট থেকে আর ফেরা হলো না নাদির শাহর। একসময় যিনি ছিলেন প্রাণশক্তির অফুরান উৎস, মাতিয়ে রাখতেন চারপাশ, জীবনের সঙ্গে তার সম্পর্ক চুকেবুকে গেল। পরপারে পাড়ি জমালেন ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক এই ক্রিকেটার ও বাংলাদেশে আইসিসির সাবেক প্যানেল আম্পায়ার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2021, 04:51 AM
Updated : 19 Dec 2021, 01:43 PM

রাজধানীর একটি হাসপাতালে শুক্রবার ভোর রাতে মারা যান নাদির শাহ। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

বছর দুয়েক ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন নাদির। কয়েক দফায় দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসাও নেন। কিন্তু সুস্থ হননি। ক্রমে খারাপ হতে থাকে শরীর। অবস্থার অবনতি হলে কিছুদিন আগে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দিন দুয়েক আগে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখান থেকে অন্তিম যাত্রায়।

খেলোয়াড়ী জীবনে নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। সঙ্গে ব্যাটিংও খারাপ করতেন না। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছে আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবের হয়ে।

পরে আম্পায়ারিং শুরু করে একসময় হয়ে ওঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তার।

সব মিলিয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন মাঠে দাঁড়িয়ে। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এছাড়াও ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।

শেষবার তাকে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে দেখা গেছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে, মিরপুরে জাতীয় লিগের ম্যাচে। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে মাঠে আর সেভাবে দেখা যায়নি তাকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেট আঙিনায় নাদির শাহ ছিলেন প্রিয় এক চরিত্র। সবসময় হাসি-মজায় মাতিয়ে রাখতেন বলে সবার সঙ্গেই তার ছিল দারুণ সখ্য। তার বিদায়ে সামাজিক যোগাযোগ শোক প্রকাশ করেন সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার ও সংগঠকদের অনেকেই।

আরেক সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা পেসারদের একজন জাহাঙ্গীর শাহ বাদশার ছোট ভাই নাদির শাহ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও দীর্ঘদিনের ক্রিকেট সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম হাসপাতালে কয়েকদিন আগের নাদির শাহর হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে লিখেছেন, “অতুলনীয় একজন, আমাদের ভালোবাসার নাদির শাহ আর নেই। দূর অজানায় নতুন ঠিকানায় তার আত্মা শান্তি পাক।”