ম্যাচ না খেলেও যে কারণে বিশ্বকাপে রুবেল

সবশেষ তিন বছরে দেশের হয়ে খেলেছেন কেবল একটি টি-টোয়েন্টি। গত জুনের পর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেননি কোনো ম্যাচ। তবুও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অপেক্ষমান তালিকায় আছেন রুবেল হোসেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন আভাস দিলেন, অভিজ্ঞতার জন্যই তারা বিবেচনায় রেখেছেন ৩১ বছর বয়সী এই পেসারকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2021, 11:58 AM
Updated : 9 Sept 2021, 11:58 AM

এক যুগের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটানো রুবেল জাতীয় দলে এখন অনিয়মিত। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ তিন বছরে দেশের হয়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র একটি করে ম্যাচ। আর ওয়ানডেতে গত দুই বছরে খেলেছেন কেবল তিনটি ম্যাচ।   

গত ১ এপ্রিল নিউ জিল্যান্ড সফরে ১০ ওভারে নেমে আসা তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পান রুবেল। ভীষণ খরুচে ছিলেন তিনি। দুই ওভারে পাননি কোনো উইকেট, রান দেন ৩৩। এটাই তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

এরপর তিন সিরিজ মিলিয়ে ১২ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার খেলবে আরেকটি। সেটিতেও রুবেলের খেলার সম্ভাব্য প্রায় শূন্য।

৩৬ মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবল টি-টোয়েন্টি খেলা রুবেলের যে ঘরোয়া ক্রিকেট অসাধারণ কেটেছে এমন নয়। বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলে রুবেল ১৭.৪১ গড়ে নেন ১৭ উইকেট। সেরা ৩০ রানে ৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে ওই একবারই তিনি নেন চার উইকেট। পেসারদের মধ্যে চারজন নেন তার চেয়ে বেশি উইকেট।     

নিউ জিল্যান্ডে খরুচে বোলিংয়ের পর জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারান রুবেল। তবে তেমন কিছু না করেই ওয়ানডে সিরিজের দলে ফিরেন তিনি। যদিও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কোয়ারেন্টিনের শর্ত মাথায় রেখে আরও দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে রুবেলকেও জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে রেখে দেন নির্বাচকরা। বলয়ে থাকা আর সবার মতো অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের দলে জায়গা পান রুবেল। নিউ জিল্যান্ড সিরিজের ১৯ জনের দলেও আছেন তিনি।

বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে তার জায়গা না হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার জানান মিনহাজুল। টানা তিনটি সিরিজ দলের সঙ্গে থেকেও খেলার সুযোগ হচ্ছে না। না খেলেও কীভাবে অপেক্ষমান তালিকায় এলেন রুবেল, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক দিলেন এর ব্যাখ্যা।      

“দেখেন দলে ৫-৬ জন পেসার থাকলে তাদের সবাইকে কিন্তু একাদশে খেলানো মুশকিল। আর দল যখন ভালো খেলতে থাকে তখন একাদশ বদল করতেও টিম ম্যানেজমেন্ট চায় না। তো ধারাবাহিকভাবে ওই ১১ জনের ওপরই বিশ্বাস রাখা হয়।”

“সেই হিসেবে রুবেল ম্যাচ পায়নি। কিন্তু সে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটার, আমি মনে করি ও নিজেকে যেভাবে তৈরি করে রেখেছে যখন দরকার হবে আমরা ওর সেরা সার্ভিসটা পাব।”