ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলেও নেই স্টোকস

মানসিক অবসাদের কারণে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালীন সময়ের বিরতিতে থাকা বেন স্টোকসকে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। চার বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার টাইমাল মিলস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2021, 10:45 AM
Updated : 9 Sept 2021, 01:15 PM

অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বৃহস্পতিবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

চলতি বছরের আইপিএলে (ভারতের মাটিতে স্থগিত হওয়া পর্ব) আঙ্গুল ফেটে যাওয়ার পর থেকেই মূলত মাঠের বাইরে আছেন স্টোকস। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও ইংল্যান্ডের মূল দলে করোনাভাইরাসের হানায় দলের প্রয়োজনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে খেলেন তিনি।

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলেও ছিলেন। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগে গত ৩০ জুলাই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতি নেওয়ার কথা জানান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

ইংল্যান্ডের হয়ে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলা মিলস দলে ফিরেছেন সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও দা হান্ড্রেডের চ্যাম্পিয়ন সাউদার্ন ব্রেভের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য।

ইংল্যান্ড দল

ওয়েন মর্গ্যান (অধিনায়ক), মইন আলি, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম বিলিংস, জস বাটলার, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, দাভিদ মালান, টাইমাল মিলস, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, মার্ক উড।

রিজার্ভ: টম কারান, লিয়াম ডসন, জেমস ভিন্স।

অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান অবশ্য আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মিলস থাকতে পারেন তার ভিন্ন স্কিলের জন্য। প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডও মনে করেন, বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেই বিশ্বকাপ দলে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

“টাইমাল মিলস (বিশ্বকাপ দলে) থাকার যোগ্য এবং সে সেটা গত কয়েক বছর ধরে প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে এই গ্রীষ্মে সে দেখিয়েছে যে প্রতিটি ধাপে সফল হওয়ার সব দক্ষতা তার আছে।”

“তার অসাধারণ গতির ব্যাপারটা দুর্দান্ত এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের খেলায় যেভাবে সাসেক্স ও সাউদার্ন ব্রেভের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছে তাতে বোঝা যায়, বড় মঞ্চের চাপ উপভোগ করে। সে আমাদের বোলিং ইউনিটে বৈচিত্র্য যোগ করবে। আন্তর্জাতিক মেজর টুর্নামেন্টে তাকে খেলতে দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা।”

বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসের দলে জায়গা পাওয়া কিছুটা অবাক করার মতো। চলতি বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ৬ বছর পর ফেরেন টি-টোয়েন্টি দলে। ওই সিরিজে দুই ম্যাচে কেবল এক উইকেট পান, অবশ্য ওভারপ্রতি রান দেন মাত্র ৩.২৮ রেটে। ধারণা করা হচ্ছে, ওকসের ওয়ানডেতে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করার অভিজ্ঞতাই তাকে দলে জায়গা করে দিয়েছে। চোটের জন্য জফ্রা আর্চারের অনুপস্থিতিও একটা কারণ।

ব্যাটিং লাইনআপে নেই কোনো বড় চমক। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটসম্যান দাভিদ মালান, মর্গ্যান, জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, স্যাম বিলিংসদের সমন্বয়ে গড়া ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডার বিশ্বকাপে হতে পারে অন্য দলগুলোর মাথাব্যথার কারণ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনের সম্ভাব্য স্পিন-বান্ধব উইকেট সত্ত্বেও স্পেশালিষ্ট স্পিনার হিসেবে ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা দলে রেখেছে দুজন স্পিনারকে, মইন আলি ও আদিল রশিদ।

সিলভারউড মনে করেন, বিশ্বকাপ জেতার মতই দল গড়েছেন তারা।

“আইসিসি টি -টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা রোমাঞ্চিত। এমন একটি দল আমরা নির্বাচন করেছি যা সবদিক দিয়েই ভারসাম্যপূর্ণ। বিশ্বের সব সেরা খেলোয়াড়দের উপস্থিতিতে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক টুর্নামেন্টে সফল হওয়ার সামর্থ্য এই দলের আছে বলেই আমার বিশ্বাস।”

রিজার্ভ তালিকায় আছে বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন, পেসার টম কারান ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জেমস ভিন্স।

বিশ্বকাপের আগে আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।