মিরপুরে বুধবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান নাসুমের। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১০ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারে ফেরান রাচিন রবীন্দ্রকে। পরের ওভারে বিদায় করেন অ্যালেনকে।
এই দুই উইকেটের মাঝে সাকিব আল হাসানকে রিভার্স সুইপ করে ছক্কা মারেন অ্যালেন। মাহমুদউল্লাহ বুঝতে পারছিলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাসুমের বিপক্ষেও একই পরিকল্পনা থাকতে পারে সফরকারীদের এই ওপেনারের। তাই অধিনায়ক এসে একটা পরিকল্পনা দিয়েছিলেন নাসুমকে, তবে তিনি সফল নিজের পরিকল্পনাতেই।
“ফিন যখন রিভার্স সুইপ করছিল তখন (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই আমাকে বলল, ‘ও রিভার্স করলে তুই আরেকটু আস্তে বল করবি।’ তো আমি যখন বোলিং করছি তখন দেখলাম ও একটু আগেই ঘুরে গেছে, ওটা দেখে আমি জোরে বল করেছি, তাতে মিস টাইমিংয়ে উইকেটটা পেয়ে গেছি।”
পরে দ্বাদশ ওভারে পরপর দুই বলে বিদায় করেন হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। ৪ ওভারের দুটিই মেডেন। নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য রীতিমত দুর্বোধ্য ছিলেন নাসুম। চার উইকেটের মধ্যে তার সবচেয়ে ভালো লেগেছে অ্যালেনের উইকেট পেয়ে।
“ডি গ্র্যান্ডহোমকে তো আমি আজ নিয়ে তিনবার আউট করলাম। তো অ্যালেনের উইকেটটাই আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আর এর আগের ম্যাচেও আমার লক্ষ্য ছিল যেন ওর উইকেটটা পাই। আমার অভিষেক উইকেট ও (অ্যালেন)।”
গত মার্চে নিউ জিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাসুমের। নিজের প্রথম ওভারেই অ্যালেনের উইকেট পান তিনি। সেটা ছিল নিউ জিল্যান্ডের এই ওপেনারেরও অভিষেক ম্যাচ, তিনি পেয়েছিলেন গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।