গত সোমবার ঘোষণা করা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজের পাকিস্তান দল। সেদিনই আচমকা পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন মিসবাহ, বোলিং কোচের পদ ছাড়েন ওয়াকার। নতুন কোচ হিসেবে জানানো হয় সাকলায়েন ও আব্দুল রাজ্জাকের নাম।
কিছুদিন আগেও মিসবাহর কোচিং নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে সমালোচনা ছিল অনেক। তবে বোর্ড তার পাশে ছিল বরাবরই। সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনা স্তিমিতও হয়ে এসেছিল অনেক। আরও একবছর দায়িত্বে থেকে এই কোচিং স্টাফ মেয়াদ পূর্ণ করবেন, এমন পথই ছিল সম্ভাব্য। কিন্তু নাটকীয়ভাবে বদলে গেল চিত্র।
তবে নতুন কোচ সাকলায়েন এই পালাবদলকে দেখছেন স্বাভাবিকভাবেই।
“সেরা ক্রিকেটারদের নিয়েই দল গড়া হয়েছে। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া ছিল মিসবাহ-উল-হক ও ওয়াকার ইউনিসের পেশাদারী সিদ্ধান্ত। তারা পালিয়ে গেছে, এটা বলা ভুল।”
“নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ভয়ডর ভুলে আমাদের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। এখন আমাদের মনোযোগ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সামনের সিরিজ। কোচিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরে ভাবব।”
সাকলায়েন বললেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের দুর্দান্ত ফর্ম থেকে তারা শিখতে চান। তবে দলের সামনে উদাহরণ হবে পাকিস্তানের পূর্বসূরীরাই।
“আমাদের পারফরম্যান্সের প্রেরণা হিসেবে ভারতের বদলে পাকিস্তানি কিংবদন্তিদের উদাহরণ তুলে ধরব আমরা। ভারত খুব ভালো খেলছে এবং তাদের ভালো দিকগুলো থেকে আমরা শিখতে পারি।”
“দল ভালো করুক বা খারাপ, পুরো দায় নেব আমি। এখনকার দলের সবার সঙ্গে আমি আগে কাজ করেছি। কোচ হিসেবে প্রতিটি লড়াই চ্যালেঞ্জের।”