সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সোমবার ইংল্যান্ডকে ১৫৭ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত। প্রথম ইনিংসে একটা পর্যায়ে ১২৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সফরকারীরা। আটে নেমে ৩৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহ এনে দেন শার্দুল। ৩১ বলে স্পর্শ করেন তিনি ফিফটি, যা এই সংস্করণে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম।
৯৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে রোহিতের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও একটা সময় ভারতের লিড আড়াইশর নিচে হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু সপ্তম উইকেটে রিশাভ পান্তের সঙ্গে সেঞ্চুরি জুটিতে লক্ষ্যটা ইংল্যান্ডের নাগালের বাইরে নিয়ে যান শার্দুল। এবার তার ব্যাট থেকে ৭২ বলে আসে ৬০ রান।
বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পথে থাকা প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ স্কোরার অলি পোপের উইকেট নেন তিনি। সাড়ে তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলে ইংল্যান্ড জমিয়ে তুলেছিল ম্যাচ। জুটিটা ভাঙেন ওই শার্দুলই। পরে ফিরিয়ে দেন সিরিজের প্রথম তিন টেস্টেই সেঞ্চুরি করা প্রতিপক্ষের অধিনায়ক জো রুটকেও। শেষ দিনে জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত এক স্পেলও দলের জয়ে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
“আমার মতে, শার্দুলের ম্যাচ জয়ী প্রচেষ্টা ছিল। সত্যি বলতে, সে যেমন খেলেছে তাতে তারও ম্যাচ সেরা হওয়া উচিত ছিল। ইংল্যান্ড যখন বিনা উইকেটে শতরান তুলে ফেলেছিল, তখন জুটি ভাঙা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা সে করেছে। একই সঙ্গে জো রুটের উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সে এসেই তাকে আউট করে দেয়।”
“তার ব্যাটিংও কীভাবে আমরা ভুলতে পারি। প্রথম ইনিংসে নেমেই ৩১ বলে ফিফটি করা অনেক বড় ব্যাপার। সে ব্যাটিং ভালোবাসে, আর এটা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি আমি। সে একটি বিষয় প্রমাণ করতে চায় যে, সে ব্যাট করতে পারে এবং আমাদের ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া ইনিংসও উপহার দিতে পারে। হ্যাঁ, আমি ম্যাচ সেরা হয়েছি, কিন্তু সত্যিই মনে করি তারও এর অংশ হওয়া উচিত ছিল।”