পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে নেই মালিক, সরফরাজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। তবে জায়গা হয়নি দুই সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক ও সরফরাজ আহমেদের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2021, 09:56 AM
Updated : 6 Sept 2021, 11:48 AM

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে। দলে ফিরেছেন আসিফ আলি ও খুশদিল শাহ।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ টি-টোয়েন্টি খেলা মালিক সবশেষ জাতীয় দলে ছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সরফরাজ ৬০ টি-টোয়েন্টির সবশেষটি  খেলেছেন গত এপ্রিলে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। গত অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্কোয়াডে থাকলেও কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

চমক হয়ে এসেছে ওপেনার শারজিল খানের বাদ পড়াটা। গত অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও ছিলেন পাকিস্তানের হয়ে এই সংস্করণে ২১ ম্যাচে ১৩৩.১১ স্ট্রাইক রেটে ৪০৬ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দলে জায়গা হয়নি পেসার ফাহিম আশরাফেরও। এই সংস্করণে সবশেষ জাতীয় দলে খেলেন তিনি গত এপ্রিলে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

দলে ফেরা আসিফ দেশের হয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন গত এপ্রিলে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত ২৯ ম্যাচে ১২৩.৭৪ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩৪৪ রান। খুশদিলের ৯ টি-টোয়েন্টিতে ১০৯.২৪ স্ট্রাইক রেটে রান ১৩০। সবশেষ এই বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি।

প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মিডল অর্ডারে তাদের কাছে এই দুজনই সেরা পছন্দ।

"তারা (আসিফ, খুশদিল) মিডল অর্ডারে পুলে থাকা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা দৃঢ় পারফরম্যান্সের মাধ্যমে আমাদের মিডল অর্ডারে সমস্যার সমাধান দেবে।”

প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের পর সরফরাজকে পেছনে ফেলে বাড়তি কিপার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন আজম খান। চলতি বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন দেশটির সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যান মঈন খানের ছেলে আজম।

ওয়াসিমের মতে, আজমের আগ্রাসী ব্যাটিংই সরফরাজের চেয়ে তাকে এগিয়ে রেখেছে। 

"আজম খান একজন আগ্রাসী এবং আক্রমণাত্মক ব্যাটার, যিনি উইকেট কিপিংও করেন। এমন একটি সমন্বয়ই তাকে নির্বাচকদের কাছে সরফরাজের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।"

মূল দলে জায়গা না পেলেও রিজার্ভ হিসেবে স্কোয়াডের সঙ্গে বিশ্বকাপে যাবেন উসমান কাদির, শাহনাওয়াজ দাহানি, ফখর জামান।

ওয়াশিম মনে করেন, তারা সম্ভাব্য সেরা দলটিই বেছে নিয়েছেন। তিনি আশাবাদী, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের চেনা কন্ডিশনে ভালো করবে পাকিস্তান।

“সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের কাছে বেশ পরিচিত, আমাদের খেলোয়াড়রা সেখানে নিয়মিত খেলে এবং আমরা সেখানে পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল) আয়োজন করি। আমি আত্মবিশ্বাসী এই দল ভালো পারফর্ম করবে।” 

পিসিবি জানিয়েছে, বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এই দল খেলবে।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে শুরু হবে পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ১৩ ও ১৪ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

আগামী ২৪ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা।

পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), আসিফ আলি, সোয়াইব মাকসুদ, আজম খান (উইকেটরক্ষক), খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাসনাইন।

রিজার্ভ: উসমান কাদির, শাহনাওয়াজ দাহানি, ফখর জামান।