তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের ১২৮ রান তাড়ায় বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় স্রেফ ৭৬ রানে।
উইকেট মন্থর হলেও খুব ভয়ঙ্কর ছিল না এ দিন। টার্ন ও গ্রিপ খুব বেশি করেনি। নিউ জিল্যান্ডের বোলাররাও অসাধারণ বোলিং করেনি। কিন্তু একের পর এক বাজে শটের মহড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই ডেকে আনে বিপদ।
দুটি বাউন্ডারির পর লিটন দাস আউট হন অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে, মেহেদি হাসান বিদায় নেন আলগা শটে। দুই উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় বলেই বিস্ময়করভাবে উড়িয়ে মেরে ধরা পড়েন সাকিব আল হাসান। উইকেট বিলিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেনও। মুশফিকুর রহিম আউট হননি বটে, তবে রানও খুব একটা করতে পারেননি। ৩৭ বল খেলেও কোনো বাউন্ডারি না মেরে অপরাজিত থাকেন স্রেফ ২০ রানে।
১২৯ রান তাড়ায় যদিও চার-ছক্কার জোয়ার খুব জরুরি নয়, ডমিঙ্গো তবু বললেন দলের কৌশলই ছিল দ্রুত রান তোলা।
“আমার মনে হয় না, ব্যাটিংয়ের ধরনে কোনো সমস্যা ছিল। আমরা চেয়েছি রান রেটে এগিয়ে থাকতে, কারণ রান রেটে পেছনে পড়লে পরে পুষিয়ে দেওয়া কঠিন। আমরা তাই চেয়েছি ভালোভাবে ও ইতিবাচকভাবে শুরু করতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা শুরুতে কিছু উইকেট হারিয়েছি এবং পরে ঝাঁক ধরে উইকেট হারিয়েছি। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য এখানে গিয়েই শট খেলা কঠিন। সেটাই ছিল সমস্যা।”
“আমরা ভালো শুরু পেয়েছি, ২ ওভারে ২০ রান ছিল (৩ ওভারে ২৪)। এরপর চার-পাঁচ ওভারে চার-পাঁচ উইকেট হারানো আমাদের অনেক পেছনে ঠেলে দিয়েছে।”