এবারে সিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে দু প্লেসির ব্যাট থেকে। এই ম্যাচের আগে খুব একটা ফর্মে ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান। চার ম্যাচ খেলে রান ছিল ০, ১০, ১৪ ও ২। সেই হতাশা ঝেরে সেন্ট কিটসে শনিবার সেন্ট লুসিয়া কিংসের হয়ে খেলেন ৬০ বলে ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে এই ম্যাচে শুরু থেকেই দু প্লেসি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। পাওয়ার প্লেতে দল তোলে ৭১ রান, সেখানে দু প্লেসিরই রান ৪৯। ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি ২৫ বলে।
এরপর এগিয়ে যান একই গতিতে। ৭৯ থেকে শেলডন কটরলকে টানা দুই ছক্কা ও এক চার মেরে পৌঁছে যান নব্বইয়ে। শতরানে পা রাখেন ৫১ বল খেলে।
২৫৩ টি-টোয়েন্টিতে দু প্লেসির এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি ১৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬০ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১২০ রান করে।
তার সঙ্গে রোস্টন চেইসের ৩১ বলে ৬৪ রানের ইনিংস সেন্ট লুসিয়া ২০ ওভারে করে ২ উইকেটে ২২৪ রান। সেন্ট কিটস গুটিয়ে যায় কেবল ১২৪ রানেই।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেই দেখা মেলে আরেকটি সেঞ্চুরির। বারবাডোজ রয়্যালসকে কেবল ১৩০ রানে আটকে রেখে রান তাড়ায় নামে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। হেমরাজের তাণ্ডব শুরু হয় প্রথম ওভার থেকেই। পাওয়ার প্লেতে তার দল করে ৭১ রান, সেখানে হেমরাজেরই ৬১!
দু প্লেসির মতো হেমরাজও ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ২৫ বল খেলে। তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ব্র্যান্ডন কিংকে দর্শক বানিয়ে তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন রানের জোয়ার বইয়ে দিয়ে।
১০.২ ওভারে ১০৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ১৭ বলে ১৯ করে আউট হন কিং।
এরপর শোয়েব মালিককে নিয়ে কাজ শেষ করেন হেমরাজ। লক্ষ্য বড় নয় বলেই শেষ দিকে তার শতরান পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় সংশয়।
দলের জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১৮ রান, হেমরাজের সেঞ্চুরির জন্য তখন লাগে ১২ রান। কিন্তু শোয়েব মালিক বাউন্ডারি মেরে বসেন। এরপর অবশ্য বেশ কিছু বলে রান না নিয়ে হেমরাজের শতরানের সুযোগ তৈরি করে দেন মালিক।
দলের জয়ের জন্য যখন প্রয়োজন ১ রান, তার সেঞ্চুরির জন্যও ১, ছক্কা মেরে তখন দুই লক্ষ্যই ছুঁয়ে ফেলেন হেমরাজ। ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৫।
২৮ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের এটি প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আগের ২৭ ম্যাচে ফিফটিই ছিল তার কেবল দুটি।
৩৪ বল বাকি রেখেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় গায়ানা।