ঢাকা ক্লাবে শনিবার বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে এই তথ্য জানান নাজমুল হাসান।
বিসিবি সভাপতির দাবি, বিসিবির খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ার পরও বিসিবির কোষাগার ফুলেফেঁপে উঠেছে তার দায়িত্বে থাকার সময়ে।
“আগে হেড কোচ থাকত। এখন বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং কোচ, ট্রেনার, এসব হলো জাতীয় দলে। এরপর এইচপিতে, মহিলা দলে, এখন অনূধর্ব-১৯ দলেও বিদেশি কোচ। কী পরিমাণ খরচ বিসিবির বেড়েছে। ক্রিকেটাররা ও ওদের সংশ্লিষ্টরা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেত, অন্তত এখন ১০ গুণ বেড়ে গেছে। আমাদের সব লোকাল স্পন্সর্স, বাইরের নয়। টাকা আমরা কম পাই (আইসিসির রাজস্ব থেকে)। এতকিছু করার পরও, আমাদের এখন এফডিআর আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো।”
২০১২ সালের অক্টোবরে সরকারের মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান। পরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে। ২০১৭ সালেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে দায়িত্ব নেন আবার। আগামী মাসেই হতে পারে বিসিবির আগামী নির্বাচন। অতিনাটকীয় কোনো পালাবদল না হলে নাজমুল হাসানের আরেক দফায় দায়িত্বে আসা একরকম নিশ্চিত।
নাজমুল হাসানের দাবি, আইসিসির আগামী চক্রে আইসিসি থেকে রাজস্ব ভাগও আগের চেয়ে বেশি পাবে বিসিবি।
“আইসিসি থেকে অর্থ বাড়বে সামনে। ২০২৩ সাল থেকে আমরা অনেক বেশি পাব। আমাদের এতদিন যে অনুপাতে দিয়ে এসেছে, ওটা ঠিক নয়। আমি ওদের কাছে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, কিন্তু আট বছরের চক্রে পড়ে গেছি ততদিনে। ২০২৩ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সমান টাকা পাবে বাংলাদেশ। এত বছর ধরে, আমাদের জিম্বাবুয়ের সমান দিত।”
যদিও আসলে আইসিসির বর্তমান চক্রেই অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান রাজস্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ। বেশি পাচ্ছে শুধু ইংল্যান্ড ও ভারত।