জয়ের কৃতিত্ব বোলারদের দিলেন মাহমুদউল্লাহ

তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হজম করলেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে সঙ্গে ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা করলেন রুমাল আনার জন্য। স্পষ্টতই শিশিরের জন্য সমস্যা হচ্ছিল বাঁহাতি এই স্পিনারের। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য যা ছিল বড় সমস্যা, সেটাই নিউ জিল্যান্ডের জন্য আশীর্বাদ। ফ্লাড লাইটের আলোয় ব্যাটিং হয়ে গেল তুলনামূলক সহজ। এমন উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি নিয়েও জেতায় বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন স্বাগতিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2021, 03:54 PM
Updated : 3 Sept 2021, 04:24 PM

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করে ৪ রানে জিতে সিরিজে ব্যবধান বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। ১৪২ রানের লক্ষ্য দিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে থামিয়েছে ১৩৭ রানে।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় বেশ টার্ন ও বাউন্স পেয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের স্পিনাররা। বল কিছুটা গ্রিপ করেছে, দুয়েকটা বল নিচুও হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় উইকেটে খুব একটা সহায়তা ছিল না। ধরেনি মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার। স্পিনারদের বল গ্রিপ করেনি খুব একটা। তবে তারা খুব ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করে ঠিকই উতরে গেছেন।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, পরে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাওয়ায় বোলারদের কাজটা ছিল অনেক কঠিন। 

“আমার মতে, উইকেট আজকে বেশ ভালো ছিল, আগের ম্যাচের তুলনায়। বেশ ভালো উইকেট ছিল। আমার মনে হয়, দিনের বেলায় যখন আমরা ব্যাট করেছি তখন স্পিন ধরছিল। বাউন্সও একটু উঁচু-নিচু হচ্ছিল। কিন্তু আন্ডার লাইটস, আস্তে আস্তে উইকেট ভালো থেকে আরও ভালো হচ্ছিল। বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। এই উইকেটে ১৪১ ডিফেন্ড করতে পেরেছে। কৃতিত্ব বোলারদের।”

ছক্কা হজম করে শুরু করলেও দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ান সাকিব। পরের বলেই আউট করে দেন রাচিন রবীন্দ্রকে। পরে উইল ইয়াংকে বিদায় করে সাকিব ভাঙেন জমে যাওয়া জুটি।

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ঝড় তুলতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। পাওয়ার প্লেতে তিনটি ওভার করা অফ স্পিনার মেহেদি হাসান শেষ পর্যন্ত আঁটসাঁট বোলিংয়ে স্রেফ ১২ দিয়ে নেন ২ উইকেট। তার বোলিংয়ে মুগ্ধ বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“মেহেদি সত্যিই ভালো বোলিং করছে। প্রতি ম্যাচেই সে প্রথম ওভার করছে এবং আমাদেরকে ভালো শুরু এনে দিচ্ছে। দারুণ নিয়ন্ত্রিত স্পেল করছে। সাকিবও অবদান রেখেছে, নাসুম-সাইফ ভালো বোলিং করেছে।”