ল্যাথামের লড়াইয়ের পরও বাংলাদেশের জয়

লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ এনে দিলেন ভালো শুরু। শেষটায় রানের গতিতে দম দিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ। টম ল্যাথামের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই রান তাড়ার আশা জাগাল নিউ জিল্যান্ড। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শেষ দিকে তালগোল পাকালেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2021, 09:33 AM
Updated : 5 Sept 2021, 09:57 AM

৪ রানের জয়

শেষ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে সেই রান করে ফেলারই আশা জাগিয়েছিল সফরকারীরা।

প্রথম বলে ক্যাচের মতো দিয়েও ৩ রান পেয়ে যান কোল ম্যাকনকি। পরের তিন বলে আসে কেবল ৪ রান। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ১৩। এমন সময় বীমার মেরে বসেন মুস্তাফিজ, ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের পাশ দিয়ে হয়ে যায় চার।

সমতা ফেরাতে তখন নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ২ বলে ৮। পঞ্চম বলে আসে ২। শেষ বলে ছক্কার সমীকরণ মেলাতে পারেননি টম ল্যাথাম। নিতে পারেন কেবল ১।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৬ (নাঈম ৩৯, লিটন ৩৩, মুশফিক ০, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, আফিফ ৩, সোহান ১৩; প্যাটেল ৪-০-২০-১, ম্যাকনকি ৪-০-২৪-১, বেনেট ৪-০-৩২-১, ব্রেসওয়েল ৩-০-৩০-০, রাচিন ৪-০-২২-৩, সিয়ার্স ১-০-১১-০)

নিউ জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৩৭/৫ (ব্লান্ডেল ৬, রাচিন ১০, ল্যাথাম ৬৫*, ইয়াং ২২, ডি গ্র্যান্ডহোম ৮, নিকোলস ৬, ম্যাকনকি ১৫*; মেহেদি ৪-০-১২-২, নাসুম ৩-০-১৭-১, সাকিব ৪-০-২৯-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৭-০, সাইফ ৪-০-৩৬-০)

সুযোগ হাতছাড়া করলেন সোহান

নিউ জিল্যান্ডের আশা হয়ে টিকে থাকা টম ল্যাথামকে ফেরানোর একটা সুযোগ হাতছাড়া করলেন নুরুল হাসান সোহান। দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় সময় মতো ফিরতে পারেননি নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। কিন্তু বল গ্লাভসে আসার আগেই বেলস ফেলে দেন সোহান।

বেঁচে যান ল্যাথাম, সে সময় ৫৭ রানে ছিলেন তিনি।

১৯ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১২২। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২০ রান চাই সফরকারীদের।

ল্যাথামের ফিফটি

দলের বিপদে ধরেছেন হাল। প্রমোশন নিয়ে নেমেছেন তিনে। অন্য প্রান্তে দেখছেন একের পর এক সঙ্গীর বিদায়। তবুও খেলে চলেছেন আস্থার সঙ্গে। ৩৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে টম ল্যাথাম বাঁচিয়ে রেখেছেন নিউ জিল্যান্ডের আশা।

চারটি চার ও একটি ছক্কায় সিরিজে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিফটি স্পর্শ করেন বাঁহাতি কিপার-ব্যাটসম্যান ল্যাথাম।

১৮ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ১১৪। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে সফরকারীদের প্রয়োজন ২৮ রান।

নিকোলসকে দ্রুত ফেরালেন মেহেদি

নিজের শেষ ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই বাউন্ডারি হজম করলেন মেহেদি হাসান। তবে দ্রুত ধরা দিলো সাফল্য। ফিরিয়ে দিলেন হেনরি নিকোলসকে।

বাড়তি লাফানো বলে ঠিক মতো সুইপ করতে পারেননি তিনি। লং লেগে আস্থার সঙ্গে ক্যাচ মুঠোয় জমান মুশফিকুর রহিম।

৫ বলে ১ চারে ৬ রান করেন নিকোলস।

১৬ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৫ উইকেটে ৯৪। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৪৮ রান চাই সফরকারীদের।

নাসুমের শিকার ডি গ্র্যান্ডহোম

ওভার প্রতি প্রয়োজন সাড়ে নয় করে। এখন আর খুব একটা দেখে শুনে খেলার সময় নেই। প্রয়োজন বড় শট। আর সেই চেষ্টাতেই সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।

নাসুম আহমেদের বলে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান মুশফিকুর রহিম।

১০ বলে ডি গ্র্যান্ডহোম করেন ৮।

১৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ৮৮। ক্রিজে টম ল্যাথামের সঙ্গী হেনরি নিকোলস।

জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৫৪ রান চাই তাদের।

জমে যাওয়া জুটি ভাঙলেন সাকিব

প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ করেছিল ২ উইকেটে ৬০। খুব একটা পিছিয়ে নেই নিউ জিল্যান্ড। তারা করে ২ উইকেটে ৫৭ রান। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর সফরকারীদের টানছিলেন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। একাদশ ওভারে ইয়াংকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙলেন সাকিব আল হাসান।

বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে পরে আরও বেরিয়ে যাওয়া বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন ইয়াং। ভাঙে ৪৭ বল স্থায়ী ৪৩ রানের জুটি।

তিন চারে ২৮ বলে ২২ রান করেন ইয়াং।

১১ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ৬১। ক্রিজে ল্যাথামের সঙ্গী কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।

পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট

পাওয়ার প্লের ৬ ওভার স্পিনারদের দিয়েই করালেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তাকে হতাশ করেননি বোলাররা। এনে দিয়েছেন দুই ওপেনারের উইকেট।

৬ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২ উইকেটে ২৮।

৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান। অন্য উইকেটটি নেন বাঁহাতি সাকিব আল হাসান।

অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৫ বলে ২ ও উইল ইয়াং ১৪ বলে ৯ রানে ব্যাট করছেন।

মেহেদির শিকার ব্লান্ডেল

পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারাল নিউ জিল্যান্ড। অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে স্টাম্পড হলেন টম ব্লান্ডেল।

অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। স্পিন আশা করে ব্যাট চালিয়েছিলেন কিন্তু বল যায় সোজা। কিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে বল জমে যেতে দেখে আর ফেরার চেষ্টাই করেননি।

৮ বলে ১ চারে ৬ রান করেন ব্লান্ডেল।

৪ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ২ উইকেটে ১৯। ক্রিজে টম ল্যাথামের সঙ্গী উইল ইয়াং।

প্রথম আঘাত সাকিবের

আগের বলে সাকিব আল হাসানকে ছক্কায় ওড়ালেন রাচিন রবীন্দ্র। পরের বলে বাঁহাতি অলরাউন্ডার নিলেন মধুর প্রতিশোধ। বোল্ড করে দিলেন নিউ জিল্যান্ডের ওপেনারকে।

প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া রাচিন এবারও ফিরতে পারতেন শূন্য রানে। ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হতে হতে বেঁচে গিয়ে পান তিন রান। খোলেন রানের খাতা।

তৃতীয় ওভারে সাকিবের মাথার ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। পরের বলটি হাঁটু গেড়ে পুল করতে চেয়েছিলেন রাচিন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে হন বোল্ড।

৯ বল এক ছক্কায় ১০ রান করেন রাচিন।

৩ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১ উইকেটে ১৮।

১৪২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

শেষের দিকে রানের গতিতে দম দিলেন মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান সোহান। তাতে নিউ জিল্যান্ডকে ১৪২ রানের লক্ষ্য দিতে পারল বাংলাদেশ।

ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে ২২ বলে গড়েছেন ৩২ রানের জুটি।

ইনিংসের শেষ বলে হামিশ বেনেটকে হুক করে ছক্কা মারার চেষ্টায় থামেন সোহান। ৯ বলে এই কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ১৩ রান। ৩২ বলে ৫ চারে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৬ (নাঈম ৩৯, লিটন ৩৩, মুশফিক ০, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, আফিফ ৩, সোহান ১৩; প্যাটেল ৪-০-২০-১, ম্যাকনকি ৪-০-২৪-১, বেনেট ৪-০-৩২-১, ব্রেসওয়েল ৩-০-৩০-০, রাচিন ৪-০-২২-৩, সিয়ার্স ১-০-১১-০)

দ্রুত ফিরলেন আফিফ

ক্রিজে এসেই রানের জন্য ছটফট করছিলেন আফিফ হোসেন। বেশিক্ষণ টিকলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এজাজ প্যাটেলের বলে লং অনে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।

৩ বলে ৩ রান করেন আফিফ।

১৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১১০। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।

ছক্কার চেষ্টায় থামলেন নাঈম

শুরুতে কিছু শট খেলার চেষ্টা করা মোহাম্মদ নাঈম শেষ পরে খেলছিলেন এক-দুই করে নিয়ে। ইনিংসের শেষ ভাগে এসে তিনি ফিরে গেলেন ছক্কার চেষ্টায়।

রাচিন রবীন্দ্রকে লং অন দিয়ে ওড়াতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। বাঁদিকে একটু সরে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান টম ব্লান্ডেল।

৩৯ বলে তিন চারে ৩৯ রান করেন নাঈম। তিনি রাচিনের তৃতীয় শিকার।

১৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১০৭।

বাংলাদেশের একশ

ভালো শুরুর পর দ্রুত তিন উইকেট হারালেও রানের গতিতে দম দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৫১ বলে পৌঁছানো স্বাগতিকদের রান তিন অঙ্কে গেছে ৮৯ রানে। পরের পঞ্চাশ এসেছে ৩৮ বলে।

১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১০৩। ৩৬ বলে তিন চারে ৩৮ রানে খেলছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১৭ বলে তিন চারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করেছেন ১৮ রান।

টিকলেন না সাকিবও

আগের ওভারে জোড়া উইকেট হারানো বাংলাদেশ খেল আরেকটি বড় ধাক্কা। কোল ম্যাকনকিকে ছক্কার চেষ্টায় ফিরে গেলেন সাকিব আল হাসান।

লং অফে ক্যাচ ধরতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছিলেন বেন সিয়ার্স। তবে ভাগ্যভালো তার, হাত থেকে ফস্কালেও মাটিতে পড়েনি বল। পায়ে লেগে শূন্যতে থাকতেই কোনোমতে মুঠোয় জমাতে পারেন বল। ২ চারে ৭ বলে ১২ রান করে ফিরে যান সাকিব।

১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৭২।

ক্রিজে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

লিটন ব্যাটে সিরিজের প্রথম ছক্কা

বাঁহাতি স্পিনার রাচিন রবীন্দ্রর ঝুলিয়ে করা বলের অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন লিটন দাস। অফের দিকে সরে গিয়ে স্লগ সুইপে ওড়ালেন মিডউইকেট দিয়ে। বল গিয়ে পড়ল গ্যালারিতে। সিরিজের প্রথম ছক্কা!

তবে শেষ হাসি হাসলেন রাচিনই। এক বল পরই বোল্ড করে দিলেন তিনি।

অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল অফে সরে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। মন্থর ডেলিভারি ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ৫৭ বল স্থায়ী ৫৯ রানের জুটি।

২৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করেন লিটন।

উইকেটশূন্য পাওয়ার প্লে

টসের সময় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ১৩০-১৪০ রান করতে চান তারা। দলকে সেই লক্ষ্যে যাওয়ার ভিত গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ তুলেছেন ৩৬ রান।

দুই ওপেনারই খেলেছেন ১৮ বল করে। তিন চারে লিটন করেছেন ২০ রান। এক চারে নাঈমের রান ১৬।

বারবার বোলিং পরিবর্তন করে, পেস-স্পিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করে জুটি ভাঙার চেষ্টা করছেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। তবে রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছেন লিটন-নাঈম।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় লিটন-নাঈম

নতুন বলে যত দ্রুত সম্ভব রান তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শূন্য রানে জীবন পাওয়ার পর এজাজ প্যাটেলকে চমৎকার ইনসাইড আউট ও কাট শটে বাউন্ডারি মেরেছেন লিটন।

হামিশ বেনেটর স্লোয়ারে কাভার দিয়ে দারুণ ড্রাইভে বাউন্ডারি এসেছে বাঁহাতি ওপেনার নাঈমের ব্যাট থেকে।

প্রথম ৪ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসে বাউন্ডারি তিনটি। আগের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের পুরো ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল কেবল তিনটি।

৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ২১।

শূন্যতে বাঁচলেন লিটন

সৌম্য সরকারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া লিটন দাস আগের ম্যাচে করেছিলেন ১। এবার আউট হতে বসেছিলেন শূন্য রানে। কোল ম্যাকনকির বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন ডানহাতি এই ওপেনার।

অফ স্পিনারের পরের বলে বেঁচে যান এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন থেকে। এরপর ২ রান নিয়ে খুলেন রানের খাতা।

২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ৬।

নিউ জিল্যান্ড দলে দুই পরিবর্তন

হার দিয়ে সিরিজ শুরু করা নিউ জিল্যান্ড দলে এনেছে দুটি পরিবর্তন। জ্যাকব ডাফি ও ব্লেয়ার টিকনারের বদলে একাদশে এসেছেন হামিশ বেনেট ও বেন সিয়ার্স।

গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষেই সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন বেনেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হচ্ছে ২৩ বছর বয়সী পেসার সিয়ার্সের।

নিউ জিল্যান্ড একাদশ: রাচিন রবীন্দ্র, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), উইল ইয়াং, টম ব্লান্ডেল, হেনরি নিকোলস, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কোল ম্যাকনকি, ডগ ব্রেসওয়েল, এজাজ প্যাটেল, হামিশ বেনেট, বেন সিয়ার্স।

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ দল

প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জেতা বাংলাদেশ একাদশে আনেনি কোনো পরিবর্তন। বাইরেই থেকে গেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।

টস

টস জিতলেন মাহমুদউল্লাহ, নিলেন ব্যাটিং। আগের ম্যাচে টসে হেরে বোলিং পেয়ে সফরকারীদের ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ।

আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ

মিরপুরের উইকেট এমনিতেই টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ নয়। আবহাওয়ার জন্য উইকেট বানানো হয়ে গেছে আরও কঠিন। স্পিন মঞ্চে প্রথম ম্যাচে স্রেফ ৬০ রানেই গুটিয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশ জিতে গেছে ৭ উইকেট ও ৩০ বল হাতে রেখে।

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিকাল চারটায় শুরু হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

এর আগের দিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জয়ের অভ্যাস ধরে রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তাদের কাছে। আসন্ন টুর্নামেন্ট খেলার আগে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলে তারা বাড়িয়ে নিতে চান আত্মবিশ্বাস।