বাংলাদেশ সফরে ৪-১ ব্যবধানে হারা অস্ট্রেলিয়া সবশেষ ম্যাচে করেছিল ৬২। সেখানে তাসমান সাগর পাড়ের আরেক দেশ নিউ জিল্যান্ড শুরু করেছে ৬০ রান দিয়ে। তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলের কেউ নেই স্কোয়াডে।
এমন দলের বিপক্ষে মিরপুরে স্পিন মঞ্চে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। এর আগের দিন বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় সাইফ জানালেন, কন্ডিশন বুঝে, পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলছেন তারা। জয়ের ধারা বজায় রাখার সঙ্গে তাদের লক্ষ্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়া।
“টি-টোয়েন্টি এমন একটা ফরম্যাট যেখানে ফেভারিট বলাটা কঠিন। ব্যাটিং উইকেটে খেলা হলে যেদিন যাদের ব্যাটে ভালো টাচ থাকবে তারাই জিতবে। এজন্য আত্মবিশ্বাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শেষ কয়েকটা ম্যাচে টানা জয়ের ধারায় আছি। তো নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি ম্যাচগুলোতেও যদি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি, বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে সব ম্যাচে ভালো কাজে দেবে।”
“দেখেন, আমরা যখন ম্যাচ জিতি তখন শুধু আমরা ক্রিকেটাররা না পুরো দেশবাসীই খুশি হয়। দিনশেষে আসলে সবাই বাংলাদেশের জয়টাই দেখতে চায়। হয়ত কন্ডিশন একটু ভিন্ন বা হয়তবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনুযায়ী কম রান হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলি, সেটা ১৯০ রান চেজ করেই হোক বা ১০০ বা ৯০ রান চেজ করেই হোক। আমাদের কাছে জয়টাই মূখ্য।”
বাংলাদেশের প্রস্তুতির শেষ সুযোগ এই নিউ জিল্যান্ড সিরিজই। এরপর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাবে ওমানে। যেখানে আগামী ১৭ অক্টোবর হবে প্রথম ম্যাচ। অলরাউন্ডার সাইফের ধারণা, ওমানে অনুশীলনই প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট হবে। দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রয়োজন জয়।
“সামনে আমাদের বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ম্যাচ আছে এবং এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলা হবে তখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। হয়তবা এখানকার অভিজ্ঞতাটা খুব একটা কাজে আসবে না, কিন্তু আত্মবিশ্বাসটা যদি নিয়ে যেতে পারি..যেহেতু আমরা প্রস্তুতির সুযোগ পাব ওখানে, তো আমরা যতটা মানিয়ে নিতে পারব সেখানে তত ভালো হবে।”
“শেষ কয়েকটা সিরিজে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলছে। যদিও বিশ্বকাপ খেলতে গেলে কন্ডিশন একটু ভিন্ন হবে, তবে ওমানে অনুশীলনের সুযোগ পাব। আর আমরা বোলাররা অনেক কন্ডিশনেই ম্যাচ খেলেছি, তো মানিয়ে নিতে পারব বলে আমি মনে করি।”