ভুল থেকে শিখতে চায় নিউ জিল্যান্ড

মিরপুরের উইকেটে কাজটা কঠিন হবে, জানা ছিল টম ল্যাথামের। কিন্তু এতটা কঠিন, তা ভাবতে পারেননি নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। তারা তাই এখন বোঝার চেষ্টা করছেন এই উইকেটের আদর্শ স্কোর কত। খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ওই স্কোরে পৌঁছানোর পথ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2021, 04:18 AM
Updated : 2 Sept 2021, 08:49 AM

প্রথম টি-টোয়েন্টি টস জিতে ব্যাটিং করতে নামার পরপরই বাংলাদেশের স্পিনে দিশাহারা হয়ে পড়ে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং। প্রথম চার ওভারে হারায় তারা চার উইকেট। শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁকতে করতে পারে মোটে ৬০ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা তাদের যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানের স্কোর। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো দলেরই সর্বনিম্ন স্কোর।

৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলস চেষ্টা করেন জুটি গড়ার। কিন্তু দুজনই ১৮ রান করে আউট হন বড় শট খেলতে গিয়ে। ইনিংসের সর্বোচ্চ রান তাদেরই। মন্থর ও টার্নিং উইকেটে মানিয়ে নিতে পারেননি দলের কোনো ব্যাটসম্যান।

ম্যাচের পর ল্যাথাম বললেন, প্রথম ম্যাচে অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তারা।

“প্রথম ম্যাচ ছিল এটি…আশা করি আজ যা হয়েছে, এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব আমরা। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো, এই কন্ডিশনে পথ খুঁজে বের করা। দেশের চেয়ে এখানে সবকিছু পুরো আলাদা। তাই বোঝার চেষ্টা করছি, এই উইকেটে ভালো স্কোর কেমন।”

“আমরা বোঝার চেষ্টা করছি এখানে ভালো স্কোর কত এবং সেই স্কোরে আমরা কিভাবে পৌঁছতে পারি। দেশে যে পথ বেছে নেই আমরা, সেটির চেয়ে পুরো ভিন্ন কিছু খুঁজতে হবে। আমি নিশ্চিত, ছেলেরা এখান থেকে অনেক শিখবে।”

৬০ রানের পুঁজি নিয়েও নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা বেশ ভালো লড়াই করেছে। শুরুতেই দুটি উইকেট নিতে পেরেছে তারা। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জিতলেও এই রান তাড়ায় খেলতে হয়েছে ১৫ ওভার। এখান থেকেও সম্ভাব্য নিরাপদ স্কোরের একটা ধারণা পেয়েছেন ল্যাথামরা।

“ছেলেরা যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে আমি গর্বিত। এই কন্ডিশনে কাজটা কঠিন। লম্বা সময় ধরে চাপ ধরে রাখলে, অনেক কিছুই দ্রুত হয়ে যায়।”

“বল হাতে আমরা যেমন দেখিয়েছি, এখানে রান করাটা খুব সহজ নয়। যদি আমরা লড়িয়ে স্কোর গড়তে পারি এবং কিছুটা চাপ প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে কে জানে কী হতে পারে!”

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।