টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড প্রথম চার ওভারে চার উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যন্ত অলআউট ৬০ রানে। এই সংস্করণে যা তাদের সর্বনিম্ন দলীয় রান, বাংলাদেশের বিপক্ষে সব দল মিলিয়েই সর্বনিম্ন। এই রান তাড়ায়ও বাংলাদেশকে খেলতে হয় ১৫ ওভার।
সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের উইকেটেও খাবি খেয়েছে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ১৫০-১৬০ রানের উইকেট আশা করছেন তারা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও ভালো উইকেটের আশাবাদ জানান।
কিন্তু প্রথম ম্যাচের উইকেটে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। ব্যাট হাতে খেলেন ম্যাচের সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে তিনি জানালেন উইকেট নিয়ে তার উপলব্ধি।
“আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চেয়েও কঠিন উইকেট ছিল প্রথম ম্যাচটায়। তার পরও বলতে হবে, আমরা ভালো জায়গায় বোলিং করতে পেরেছি। নিউ জিল্যান্ডের যেহেতু খুব বেশি অভিজ্ঞতা ছিল না এই কন্ডিশনে খেলার, স্বাভাবিকভাবেই অনেক ধুঁকেছে ওরা।”
“অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ ও এই ম্যাচ জুড়ে আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করছি। ব্যাটিং এখনও নিজেদের মানে হচ্ছে না। তবে কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ নয়। তাই ভালো স্কোর গড়তে আমাদের সত্যিই ভালো ব্যাটিং করতে হবে।”
সাকিবের মতে, টি-টোয়েন্টির প্রথাগত আগ্রাসী ব্যাটিং ভুলে এখানে জোর দিতে হবে দৌড়ে রান তোলার দিকে। তবে তারপরও যে কাজটা কঠিন, তা বললেন আবারও।
“এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিঙ্গেলস যত বেশি নেওয়া যায়, কিংবা রানিং বিটুইন দা উইকেট। এই দুটি জিনিসে যত বেশি ফোকাস করা যায় তত ভালো। কারণ, বাউন্ডারি মারা খুবই কঠিন। ইতিবাচক মানসিকতায় থাকলে যেটা হবে, সিঙ্গেল-ডাবলস নেওয়া সহজ হয়। যেটা একটা ব্যাটসম্যানের চাপ সরিয়ে নেয়। তার পর সেট হয়ে গেলে একটা-দুইটা বাজে বল পেলে কাজে লাগানো যায়, তাহলে রান করা হয়তো সম্ভব এখানে।”
“তবে যত কিছুই বলি, খুবই কঠিন কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য, অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে ব্যাটসম্যানরা যাচ্ছে এই পিচে খেলার মাধ্যমে।”