‘নাঈমকে আরও কাজ করতে হবে’

মোহাম্মদ নাঈম শেখের শুরুটা হয়েছে সম্ভাবনার আলো ছড়িয়ে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ভবিষ্যতও দারুণ উজ্জ্বল দেখছেন রাসেল ডমিঙ্গো। তবে সম্ভাবনাময় বর্তমানকে ভবিষ্যতে পূর্ণতার আলোর ছটায় রূপ দিতে তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে ঘাম ঝরাতে হবে অনেক, বলছেন বাংলাদেশ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2021, 12:13 PM
Updated : 30 August 2021, 12:14 PM

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাঈমের পথচলা শুরু ডমিঙ্গোর কোচিংয়েই। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরে, বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডমিঙ্গোর প্রথম সফর সেটিও। নাঈম সম্ভাবনার ঝলক দেখান সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজেই। প্রথম দুই ম্যাচে ২৬ ও ৩৬ রানের ইনিংসের পর শেষ ম্যাচে খেলেন ৪৮ বলে ৮১ রানের দারুণ ইনিংস।

পরের সিরিজগুলোতেও রান পেয়েছেন মোটামুটি। বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও শুরুটা ভালো করেছেন বেশ কয়েক ম্যাচেই। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দেখা যাচ্ছে ভাটার টান। গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর রান পাননি পরের দুই ম্যাচে। দেশে ফিরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ৫ ম্যাচেই ব্যর্থ তিনি।

প্রথম ১০ টি-টোয়েন্টিতে তার রান ছিল ৩৬৬, গড় ৪০.৬৬, স্ট্রাইক রেট ১২২। কিন্তু সবশেষ ৭ ম্যাচে রান মোটে ৯৯। গড় মোটে ১৪.১৪, স্ট্রাইক রেট মাত্র ৮৩.৮৯। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ যদিও ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন ছিল উইকেটের কারণে। তার পরও তার এই পারফরম্যান্স হতাশাজনক।

কোচের অবশ্য তাকে নিয়ে অনেক উচ্চাশা। তবে সেই আশা পূরণ করতে হলে কোথায় উন্নতি প্রয়োজন, সেটিও তিনি বললেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে।

“নাঈম বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত ক্রিকেটার হতে যাচ্ছে। এখনও সে পায়ের নিচে জমিন শক্ত করার চেষ্টা করছে। তার টেকনিক ও সামর্থ্যের কথা বলতে গেলে…তার ওয়ার্ক এথিক দারুণ। ভালো কিছু ইনিংস সে আমাদের জন্য খেলেছে।”

“আমরা জানি, তার কিছু কাজ আরও করতে হবে। বিশেষ করে স্পিনে এখনও সে স্ট্রাইক রোটেট শেখার পথ খুঁজছে। এখানে উন্নতি করে যেতেই হবে। তবে এখনও পর্যন্ত তার উন্নতিতে আমি খুবই সন্তুষ্ট ও খুশি। আমি মনে করি, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সে বাংলাদেশের জন্য দারুণ ক্রিকেটার হয়ে উঠবে। তার সম্ভাবনা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।”

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ওপেনিংয়ে জায়গা পাওয়ার জন্য নাঈমকে লড়তে হবে লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকারের সঙ্গে। ডমিঙ্গো জানালেন, নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচের আগের দিন তারা চূড়ান্ত করে ফেলবেন দুই ওপেনার।