কিছুদিন আগেও অবশ্য এই চিত্র কল্পনা করা ছিল কঠিন। সাদা পোশাকে বেশ কিছুদিন ধরেই আর কিপিং করছেন না মুশফিক। তবে রঙিন পোশাকে উইকেটের পেছনে ছিল তারই রাজত্ব।
তবে সবশেষ দুই সিরিজে পাল্টে গেছে চিত্র। জিম্বাবুয়ে সফরে ও দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মুশফিকের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে দারুণ পারফর্ম করেন সোহান। কিপিংয়ে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। টেকনিক্যাল স্কিল তো বটেই, উইকেটের পেছনে তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি, সবাইকে উজ্জীবিত করা, মাঠে প্রাণশক্তির জোগান দেওয়া, সব মিলিয়েই নজর কাড়েন দারুণভাবে। ব্যাট হাতে খুব ভালো না করলেও নিজের উপযোগিতা প্রমাণ করেন কয়েকটি ম্যাচে।
এবার নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য মুশফিক ফিরেছেন দলে। তাই সম্ভাব্য কিপার নিয়ে কৌতূহল ছিল তীব্র। সোহানকে একাদশে রাখা হয় কিনা, সেই প্রশ্নও ছিল। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সব কৌতূহল সরাসরিই মেটালেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
“নিশ্চিতভাবেই সোহান কিপিং করবে প্রথম দুই ম্যাচে। এই সিরিজটায় আমরা উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। দুজনকেই দুটি করে ম্যাচে দেখা হবে, তারপর পঞ্চম ম্যাচে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওই অপশনগুলো কাভার করা গুরুত্বপূর্ণ। সামনে তাকিয়ে, এটিই পরিকল্পনা। তবে সোহান শুরুতে কিপিং করবে।”
৮৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাত্র চারটি ম্যাচেই কিপিং করেননি মুশফিক। সবকটিই ২০১৬ সালে এবং তখন কিপিং করেছিলেন এই সোহানই। নিজের ২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের সবকটিতে সোহান কিপিং করেছেন।
এই দুজন ছাড়াও বাংলাদেশ দলে কিপার আছেন আরেকজন, লিটন দাস। টেস্টে তিনিই কিপিং করছেন এখন নিয়মিত। তবে সীমিত ওভারে যে আপাতত কিপিং ভাবনার বাইরে তিনি, কোচের কথায় তা পরিষ্কার। লিটন অবশ্য স্রেফ ফিল্ডার হিসেবেও দারুণ।