মিরপুরে গতি মানেই মার, বুঝে গেছেন সিয়ার্স

গতি বেন সিয়ার্সের শক্তি, গতিই সম্পদ। গতি দিয়ে তিনি ছেলেবেলা থেকে নজর কেড়েছেন নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটে। সামনে ছুটেছেন গতির রথেই। সেই পথ তাকে নিয়ে এসেছে জাতীয় দলে। কিন্তু তার সম্ভাব্য অভিষেকের মঞ্চ যেটি, সেটি তো গতিময় বোলারদের বধ্যভূমি! নিজের করণীয় তাই এর মধ্যেই বুঝে ফেলেছেন সিয়ার্স। মিরপুরের উইকেটে স্মার্ট বোলিং করতে চান তরুণ এই কিউই ফাস্ট বোলার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2021, 07:31 AM
Updated : 30 August 2021, 08:39 AM

নিউ জিল্যান্ডের উঠতি সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলারদের একজন সিয়ার্স। নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারেন এই ২৩ বছর বয়সী। তাকে নিয়ে এর মধ্যেই উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং গ্রেট ও সাবেক গতি তারকা শেন বন্ড। সিয়ার্সকে ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছেন নিউ জিল্যান্ডের এই সফরের কোচ গ্লেন পকন্যাল। তারও অনেক আশা প্রতিভাবান এই বোলারকে নিয়ে।

তবে এমন এক সফর দিয়ে জাতীয় দলে তার শুরু হচ্ছে, গতি যেখানে অনেক সময়ই অভিশাপ। মিরপুরের মন্থর উইকেটে গতিময় বোলিং ব্যাটসম্যানদের জন্য আশীর্বাদ, সবশেষ সিরিজে মিচেল স্টার্কের বোলিংয়েই তার প্রমাণ হয়েছে। স্টার্কের মতো অভিজ্ঞ ও স্কিলফুল বোলারও এখানে রান বিলিয়েছেন অনেক।

বাংলাদেশে অবশ্য এবারই প্রথম সফর নয় সিয়ার্সের। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলেন তিনি এবারের সফরের দলে থাকা ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্রর সঙ্গে। তবে সেই যুব বিশ্বকাপে স্রেফ একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন সিয়ার্স। ফতুল্লায় নেপালের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের হারের ম্যাচে ৮ ওভারে দিয়েছিলেন ৫০ রান। আর সুযোগ হয়নি ম্যাচ খেলা।

তখন মিরপুরে খেলা হয়নি। এবার মিরপুরের উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়েছেন দিন দুয়েক নেটে বোলিং করে। তাতেই বুঝে গেছেন, এখানে স্রেফ গতি দিয়ে চলবে না।

“গতিময় বোলিংয়ের চেষ্টা তো থাকেই। তবে উইকেট এখানে ভিন্ন। এখানে আরও স্মার্ট হতে হবে। নেটে কখনও কখনও মনে হচ্ছে, গতিময় ডেলিভারিগুলোই মার খাচ্ছে বেশি।”

“এখানে তাই বুঝতে হবে, কখন কোন ডেলিভারি করতে হবে। বৈচিত্র ধরে রাখতে হবে। অফ কাটার এখানে কার্যকর হতে পারে। সবকিছুর মিশ্রণে বোলিং করতে হবে।”

ঘরোয়া ক্রিকেটেও অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই সিয়ার্সের। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ১০টি, টি-টোয়েন্টি ১২টি। এই সফরে তিনি জায়গা পেয়েছেন মূল ক্রিকেটাদের কেউই না থাকায়। সেই বাস্তবতা তিনি জানেন। তাই ফাস্ট বোলারদের জন্য মিরপুরে কঠিন পরীক্ষা হবে জেনেও অভিষেকের অপেক্ষায় রোমাঞ্চিত তিনি।

“(অভিষেক যদি হয়) এটা হবে অসাধারণ। সফরটাও আসলে আমার জন্য একটু অদ্ভুতুড়ে। সম্ভবত দেশের ১৫তম বোলার হিসেবে নেওয়া হয়েছে আমাকে, কারণ বাকি সবাই নেই। তার পরও এখানে আসতে পারা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ।”