জাতীয় দলের বিবেচনার বাইরে তিনি অনেক দিন থেকেই। এবার শেষ হলো ঘরোয়া ক্রিকেটে দেড় যুগের ক্যারিয়ারও।
ভারতের হয়ে ৬ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বিনি। টেস্ট ও ওয়ানডেতে ফিফটি আছে একটি করে। ব্যাটিং গড় বলার মতো নয়। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে টেস্টে উইকেট ৩টি, টি-টোয়েন্টিতে ১টি ও ওয়ানডেতে ২০টি।
ওয়ানডের ওই ২০ উইকেটের মধ্যেই আছে তার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন, ২০১৪ সালের বাংলাদেশ সফরে। মিরপুরে সেই ম্যাচে উইকেট ছিল সবুজ ঘাসের গালিচা। অভিষেকে তাসকিন আহমেদের ৫ উইকেটে ভারতকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে বিনির সৌজন্যে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় বিভীষিকার। সুইং বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের নাকাল করে ৪.৪ ওভার বোলিং করেই কেবল ৪ রানে ৬ উইকেট নেন বিনি। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৫৮ রানে।
বিনির ওই বোলিং এখনও ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও।
পরে আর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তাই টিকতেও পারেননি দলে। পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজে হাপিত্যেশ করতে থাকা ভারত অবশ্য নানা সময়ই তাকে দলে এনেছে। কিন্তু তিনি পূরণ করতে পারেননি প্রত্যাশা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৫ ম্যাচে ১১ সেঞ্চুরিতে ও ৩৪.২৫ গড়ে তার রান ৪ হাজার ৭৯৬। উইকেট ১৪৮টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচে রান ১ হাজার ৭৮৮, উইকেট ৯৯টি। ১৫০ টি-টোয়েন্টিতে ১২৬.১৩ স্ট্রাইক রেটে রান ১ হাজার ৬৪১, উইকেট ৭৩টি।
গত মার্চে ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে নাগাল্যান্ডের হয়ে অরুণাচলের বিপক্ষে ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করার ম্যাচটিই হয়ে থাকল তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
স্টুয়ার্ট বিনির বাবা রজার বিনির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছেলের তুলনায় সমৃদ্ধ। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের নায়কদের একজন রজার। আসরের সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। ভারতের হয়ে খেলেন তিনি ২৭ টেস্ট ও ৭২ ওয়ানডে।