রোমাঞ্চিত এজাজ বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্কও

নিউ জিল্যান্ডের স্পিনারদের জন্য উপমহাদেশ সফর ও স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলতে পারা অনেকটা স্বর্গে চক্কর দেওয়ার মতোই। বাংলাদেশের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে বল করার সম্ভাবনায় তাই রোমাঞ্চিত এজাজ প্যাটেল। তবে উইকেট সহায়ক মানেই রাজত্ব করার নিশ্চয়তা নয়, সেটিও জানেন তিনি। নিউ জিল্যান্ডের এই বাঁহাতি স্পিনার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিন খেলে অভ্যস্ত।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2021, 06:53 AM
Updated : 29 August 2021, 09:27 AM

দেশের মাঠে খেলায় নিউ জিল্যান্ডের স্পিনারদের থাকতে হয় পার্শ্বভূমিকায়। কিন্তু এখানে স্পিনারদের দিকেই তাকিয়ে দল। এবারের সফরে এজাজের দায়িত্ব আরও বেশি, স্পিনে দলের মূল ভরসা তিনিই। দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার কোল ম্যাকনকি ও রাচিন রবীন্দ্র আছেন, তবে স্কোয়াডের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার এজাজই।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মতো অতটা টার্নিং উইকেট যদি নাও হয়, তার পরও মিরপুরের উইকেটে স্পিন ধরার কথা যথেষ্টই। তবে এজাজ স্রেফ উইকেটে তাকিয়ে নেই। স্কিলের ঝলকও দেখাতে হবে, বলছেন ৩২ বছর বয়সী স্পিনার।

“কন্ডিশনের সহায়তা যখন মেলে, সব বোলারকেরই তা রোমাঞ্চিত করে। বল করতে হাত নিশপিশ করে। পাশাপাশি এটাও বুঝতে হবে, ওদের ব্যাটসম্যানরা স্পিন খুব ভালো খেলে। আমরা ওদের কন্ডিশনে খেলছি। এখানে ওরা অনেক বড় দলকে হারিয়েছে। ওদেরকে তাই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।”

“নিশ্চিত করতে হবে যেন আমরা নিজেদের খেলার চূড়ায় থাকি। স্কিল সত্যিকার অর্থেই অনেক শানিত করতে হবে, যেন মাঠে নেমে ওই দিনটায় মেলে ধরা যায়।”

মেলে ধরার সম্ভাব্য পথ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানালেন এজাজ। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তাদের ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা। টেস্ট আঙিনায় তার পরিচয় ছিল ব্যাটসম্যান। কিন্তু সাবেক এই লঙ্কান ক্রিকেটার একসময় ছিলেন মূলত অফ স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাড়ে তিনশর বেশি উইকেট আছে তার।

এই কন্ডিশনে স্পিন করা এবং স্পিন খেলা, দুটি নিয়েই সামরাবিরার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারছেন এজাজরা।

“আমরা স্পিন বোলাররা আলোচনা করেছি, এখানে কেমন হবে, আমরা কোন পথে এগোব। থিলানের সঙ্গে তো কথা হচ্ছেই। উপমহাদেশে তার অভিজ্ঞতা অনেক। তার কাছ থেকে জানতে পারছি, ব্যাটসম্যানরা কিভাবে খেলবে এবং কোন জায়গাগুলোয় খেলতে চাইবে। এই ব্যাপারগুলিই আস্তে আস্তে বুঝে উঠে মূল ম্যাচে কাজে লাগাতে হবে আমাদের।”

এই সফরে এজাজ দলের মূল স্পিনার হলেও এই সংস্করণই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার জন্য অনেকটা অচেনা। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ৯টি টেস্ট তিনি খেলেছেন। ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন দুইবার। কিন্তু টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মোটে ২টি, উইকেট ১টি। সবশেষটি প্রায় তিন বছর আগে। এই বাংলাদেশ সফরে সুযোগ পেয়েছেন তিনি মূল দলের কেউ না থাকায়।

এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের দাবি জানিয়ে রাখতে চান এজাজ।

“এই সফরে এটা নিয়েই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সাদা বলের ক্রিকেটে খেলার সুযোগ মিলছে, সামনে সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক খেলা আছে আমাদের। সেদিকে মনোযোগ দিয়েই সুযোগটি নিতে চাই। অবশ্যই নাটকীয় কিছু করতে হবে, এমন চাপ নিজের ওপর নিচ্ছি না। স্রেফ মৌলিক ব্যাপারগুলো ধরে রাখা এবং নিজে যা ভালো পারি, তাই করে যাওয়ার চেষ্টা করা।”