ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়ে রাসেল আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন তার পেশির জোর।
সেন্ট কিটসে এবারের আসরের তৃতীয় ম্যাচে শুক্রবার জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে সেন্ট লুসিয়া কিংসের হয়ে বিধ্বংসী এই ইনিংসটি খেলেন রাসেল।
১৯তম ওভারে সেন্ট লুসিয়ার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজজে চারটি ছক্কা ও একটি চার মারেন রাসেল। শেষ ওভারে ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেড ম্যাককয়কে মারেন দুটি ছক্কা, দুটি চার। ইনিংসের শেষ দুই বলে বাউন্ডারিতে তিনি স্পর্শ করেন ফিফটি ও রেকর্ড।
৬ ছক্কা ও ৩ চারে ১৪ বলে ঠিক ৫০।
সিপিএলে দ্রুততম ফিফটির আগের রেকর্ড ছিল জেপি ডুমিনির। ২০১৯ আসরে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনি ফিফটি করেছিলেন ১৫ বলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও স্পর্শ করেছেন রাসেল। ২০১২ সালে ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টিতে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর হয়ে ১৪ বলে ফিফটি করেছিলেন কাইরন পোলার্ড।
সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রাসেলের চেয়ে দ্রুতগতির ফিফটি আছে কেবল চারজনের। ১২ বলে ফিফটির বিশ্বরেকর্ড যৌথভাবে যুবরাজ সিং, হজরতউল্লাজ জাজাই ও ক্রিস গেইলের। যুবরাজ করেছিলেন ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, গেইল ২০১৬ সালে বিগ ব্যাশে এবং জাজাই ২০১৮ আফগান প্রিমিয়ার লিগে। মার্কাস ট্রেসকোথিক ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করেন ১৩ বলে।
রাসেলের সৌজন্যে শুক্রবার শেষ দুই ওভারে জ্যামাইকা তোলে ৫৪ রান। তাদের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৫ রানে।
সিপিএলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৬৭ রানের রেকর্ড ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের, ২০১৯ আসরে।
টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেরাদুনে তারা ২০ ওভারে তোলে ২৭৮ রান।