‘এই অবস্থায় ক্রিকেট খেলতে পারাই বড় ব্যাপার’

চার দেয়ালের বন্দি জীবন শেষে আলো-হাওয়ায় অবগাহনের স্বস্তি। টিম হোটেলে তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টিন শেষে শুক্রবার থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। তবে পুরোপুরি মুক্তি নেই, পায়ে জড়ানো অদৃশ্য শেকল। সময়টাই যে এমন! আরেকটি সিরিজ মানেই আরও একবার জৈব-সুরক্ষা বলয়ের জীবন। কঠিন এই বাস্তবতায় অবশ্য সবাই মানিয়ে নিয়েছেন বলেই মনে করেন নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের এই কিপার-ব্যাটসম্যানের মতে, মহামারীকালে ক্রিকেট খেলতে পারাই তাদের জন্য অনেক কিছু।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2021, 11:25 AM
Updated : 27 August 2021, 11:35 AM

বিশ্বজুড়েই এটি এখন ক্রীড়াঙ্গনের বাস্তবতা। বিভিন্ন সিরিজ, টুর্নামেন্ট, প্রতিযোগিতা, সবই আয়োজিত হচ্ছে সুরক্ষা-বলয়ে। ক্রীড়াবিদদের থাকতে হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে, অনেক বিধি-নিষেধ মেনে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও এই অভিজ্ঞতা হচ্ছে নিয়মিত।

জিম্বাবুয়ে সফর ও দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে টানা লম্বা সময় সুরক্ষা-বলয়ে থাকতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। এরপর সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি শেষেই আবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য শুরু হয়েছে সেই সীমাবদ্ধ জীবন।

মানসিক ধকল তাই যাচ্ছে অনেক। তবে দিনের পর দিন না খেলে বসে থাকতে তো অন্তত হচ্ছে না! গত বছরও এই সময়টায় ম্যাচ খেলার জন্য হাপিত্যেশ করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। কোভিডের প্রকোপে লম্বা সময় বন্ধ ছিল খেলা।

নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরুর দিনে বিসিবির ভিডিও বার্তায় সোহান তাই বললেন, বিধি-নিষেধের মধ্যে ক্রিকেট খেলতে পারাও মহামারীকালে তাদের কাছে অনেক কাঙ্ক্ষিত।

“বায়ো-বাবলে থাকা একটু কঠিন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, এই পরিস্থিতিতে আমাদের এটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সত্যি বলতে, সবাই এটা করছেও। আমরা সবশেষ দুটি সিরিজ বায়ো-বাবলে ছিলাম। তারপর একটা রিফ্রেশড হয়ে সবাই আবার আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্র্যাকটিসে এসেছে।”

“আমার কাছে মনে হয় যে, এই পরিস্থিতিতে আমরা ক্রিকেট খেলতে পারছি, এটাই অনেক বড় ব্যাপার। আমার মনে হয় সবাই মানিয়ে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে।”

কোয়ারেন্টিন শেষে একদিন অনুশীলন শুরু করে নিউ জিল্যান্ডও। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বুধবার থেকে।