অস্ট্রেলিয়ান স্ত্রীর সঙ্গে কেয়ার্নস থাকেন ক্যানবেরায়। হার্টের গুরুতর অসুস্থতায় এই মাসের শুরুর দিকে তাকে নেওয়া সিডনিতে। সেখানে সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।
পরে অবস্থার উন্নতি হয়। বাড়ি ফেরার অনুমতিও পান সময়ের সঙ্গে। তবে সামনে দীর্ঘ চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে ৫১ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটারকে।
কেয়ার্নসের আইনজীবি অ্যারন লয়েড এক বিবৃতিতে জানান, হার্টের জটিল ওই অস্ত্রোপচারের সময় শিরদাঁড়ায় স্ট্রোক করায় তার দুই পা অসাড় হয়ে গেছে। তাকে এখন মেরুদণ্ডের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে লম্বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। আপাতত তিনি পরিবারের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাবেন কিছুদিন।
নিউ জিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন কেয়ার্নস। আগ্রাসী ব্যাটিং ও দুর্দান্ত পেস বোলিং দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাঙিয়েছেন এক যুগের বেশি সময়। ৬২ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরিতে তার রান ৩ হাজার ৩২০, উইকেট ২১৮টি। ওয়ানডে ২১৫টি খেলে রান ৪ হাজার ৯৫০, উইকেট ২০১টি।
নিউ জিল্যান্ডের প্রথম আইসিসি শিরোপা জয়ের নায়ক ঝাঁকড়া চুলের এই অলরাউন্ডার। ২০০০ সালের নক আউট বিশ্বকাপের (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে জেতান দলকে।
ক্যারিয়ার শেষে তিনি ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন টিভিতে। পরে ভারতের বিতর্কিত ক্রিকেট লিগ আইসিএলে তার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। এর পর ক্রমশ ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান তিনি। তার একসময়কার দুই সতীর্থ লু ভিনসেন্ট ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম অভিযোগ করেন, কেয়ার্নসের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ পেয়েছিলেন তারা। কেয়ার্নস অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
খেলোয়াড়ী জীবনে তাকে অনেক ভুগতে হয়েছে চোটের কারণে। নাহলে হয়তো আরও সমৃদ্ধ হতো ক্যারিয়ার। এখনও তার লড়াই অসুস্থতার সঙ্গে।
তার বাবা ল্যান্স কেয়ার্নসও ছিলেন দারুণ আগ্রাসী পেস বোলিং অলরাউন্ডার। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে তিনি খেলেছেন ৪৩ টেস্ট ও ৭৮ ওয়ানডে।