বাংলাদেশ সফরের পরপরই পাকিস্তানে ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন হেনরি। এখন তাকে দেশ ছাড়তে হচ্ছে আগেই। এখানেও অবশ্য সিরিজের শুরু থেকে তাকে পাবে না কিউইরা। সোমবার নিউ জিল্যান্ড থেকে রওনা হবেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। মঙ্গলবার বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বুধবার।
নিউ জিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড বাংলাদেশ সফরে না থাকলেও বিভিন্ন সিদ্ধান্তে সম্পৃক্ত থাকছেন। ক্রাইস্টচার্চ থেকে তিনিই ব্যাখ্যা করলেন ওপেনারের বদলে পেসার নেওয়ার কারণ।
“ম্যাট (হেনরি) অবশ্যই ফিনের (অ্যালেন) বদলি হিসেবে সম্ভাব্য একরকম নয়। তবে তাকে পেয়ে আমাদের দল নির্বাচনের বিকল্প আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং এখনকার পরিস্থিতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দলে যোগ দেওয়ায় সবচেয়ে উপযুক্ত সে-ই।”
“কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজই তার নেওয়া আছে এবং দেশে ফেরার পর তার জন্য এমআইকিউ বেড (ম্যানেজমেন্ট আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন) আগে থেকেই সংরক্ষিত আছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ব্যবস্থাপনায়ও সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। বাড়ী দেখে দীর্ঘ সময় দূরে থাকতে বলে কারও সুস্থতার ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না আমরা।”
হেনরি নিউ জিল্যান্ডের ওয়ানডে দলে মোটামুটি নিয়মিত মুখ। টেস্টও খেলেন মাঝেমধ্যে। তবে টি-টোয়েন্টি দল থেকে অনেকটা দূরেই ছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬টি টি-টোয়েন্টি তিনি খেলেছেন দেশের হয়ে। সবশেষটি সেই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশের বিপক্ষেই। নেপিয়ারে সেই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৪ দেওয়ার পর আর সুযোগ পাননি।
কোচ স্টেড জানান, অ্যালেনের বদলি হিসেবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে থাকা কিউই ক্রিকেটারদের বিবেচনা করা হয়নি কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতার কারণে। ইংল্যান্ড ফেরতদের এখন বাংলাদেশে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। ততদিনে সিরিজ প্রায় শেষ হয়েই যাবে।
ইংল্যান্ডে দা হানড্রেড খেলেই গত শুক্রবার বাংলাদেশে আসেন ফিন অ্যালেন। সেখান থেকে কোভিড নেগেটিভ হয়ে এলেও ঢাকায় পা রাখার দুই দিন পর তার শরীরে কোভিড শনাক্ত হয়। এখন তিনি টিম হোটেলেই আইসোলেশনে আছেন। পরপর দুই দিন নেগেটিভ হলেই কেবল তিনি দলে যোগ দিতে পারবেন। বদলি চলে এলেও নেগেটিভ হলে তিনি থাকবেন দলের সঙ্গেই।