ডাক্তার আমাকে বলেছে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে: বিসিবি সভাপতি

বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ হারলে তার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, বললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। পরিবারের সদস্যরাও তখন তার সামনে পড়তে চান না। শারীরিক ও মানসিক ধকল কমাতে চিকিৎসকরা তাকে ক্রিকেট থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানালেন বিসিবি প্রধান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2021, 12:07 PM
Updated : 26 August 2021, 12:19 PM

ঢাকার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন ও আবার দায়িত্বে আসার প্রসঙ্গে এই কথা বলেন নাজমুল হাসান।

২০১২ সালের অক্টোবরে সরকার মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান। পরের বছরের অক্টোবের নির্বাচনে জয়ী হন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান তিনি। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবার।

আবার তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালনের আগ্রহী কিনা, এই প্রশ্নে নাজমুল হাসান বললেন, ক্রিকেটের কারণে তার অনেক বেশিই ধকল সইতে হচ্ছে।

“ক্রিকেট অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। অনেক বেশিই সময় নিচ্ছে… আমার একটা খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, হারলে তা মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বউ-বাচ্চারা কেউ তখন আমার সামনে আসে না।”

“ডাক্তারের পক্ষ থেকে আমাকে বারবার বলা হয়েছে, ক্রিকেট থেকে যত দ্রুত সম্ভব, দূরে সরে যেতে। অন্তত, বোর্ডে থাকলেও এই জিনিসগুলো যেন না করি (বেশি সম্পৃক্ত হওয়া)। আপনাদের জানানোর জন্য বলে রাখলাম। অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।”

খুব দ্রুতই বোর্ড সভা ডেকে বিসিবি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। নিজের অংশগ্রহণের ব্যাপারটি তিনি খোলাসা করলেন না সরাসরি। তবে জানিয়ে রাখলেন, এবারের নির্বাচনে ভিন্ন কিছু দেখা যাবে।

“আমাদের ১ তারিখে বোর্ড সভা আছে। যা যা নিয়মকানুন আছে, সেখানে আমরা ঘোষণা করে দেব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা করে ফেলব (নির্বাচন), দেরি হওয়ার কারণ নেই।”

“খুব কঠিন এটা বলা (আবার তিনি দায়িত্ব নেবেন কিনা)… ১ তারিখের বোর্ড সভার পর একটু ভিন্নতা পাবেন আপনারা, নির্বাচন নিয়ে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, এবারের নির্বাচন একটু আলাদা হবে। অন্যান্যবারের মতো নাও হতে পারে। অন্তত আমি সেটাই প্রস্তাব করব, গ্রহণ করা হবে কিনা, পরের ব্যাপার।”

বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা প্রতি বছর হওয়ার কথা থাকলেও এবার হলো চার বছর পর।