‘দেশে ফিরে বলতে চাই, বাংলাদেশে সিরিজ জিতেছি’

প্রায় ১১ বছর আগের কথা। তবে হামিশ বেনেটের স্মৃতিতে এখনও তরতাজা। তার প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ সেটি, নিউ জিল্যান্ড হেরেছিল বাজেভাবে। বাংলাদেশকে তাই ভালোই চেনেন এই পেসার। শুধু ২০১০ সালের সেই সিরিজের অভিজ্ঞতাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দশার কথাও তার জানা। এই কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জটা এবার তাই জিততে চান বেনেট, নিউ জিল্যান্ডে ফিরতে চান এখানে সিরিজ জয়ের গৌরব নিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2021, 11:33 AM
Updated : 25 August 2021, 11:33 AM

২০১০ সালের সেই সফরে বেনেট বাংলাদেশে এসেছিলেন ২৩ বছর বয়সী উঠতি এক সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলার হিসেবে। শুরুটা তার দুর্দান্ত হলেও পরে চোট ও ফর্মহীনতা মিলিয়ে মোটেও সমৃদ্ধ হয়নি ক্যারিয়ার। তবে অনেক লড়াই করে আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। এবার বাংলাদেশে এসেছেন ৩৪ বছর বয়সে, মূল ক্রিকেটারদের ছাড়া খর্বশক্তির এই দলে তিনি সিনিয়রদের একজন।

তার অভিষেক সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল ৪-০ ব্যবধানে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এসে আবার ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়ে ফেরে কিউইরা। এরপর আর দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি এখানে।

টিম হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থেকে বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বেনেট বললেন, অতীতের সেই ব্যর্থতাগুলো থেকেই এবার জয়ের রসদ খুঁজে নিতে চান তারা।

“আমরা দল হিসেবে এখানে এসেছি দেশের হয়ে দায়িত্ব পালন করতে। আমি আগেও বাংলাদেশে এসেছি এবং ৪-০ ব্যবধানে হেরেছি। এখানে খুব বেশি সাফল্য আমরা পাইনি। এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণার উৎস।”

“আমাদের ভালো লাগবে, যদি নিউ জিল্যান্ডে ফিরে গিয়ে বলতে পারি, আমরা বাংলাদেশে সিরিজ জিতে এসেছি। আপনারা দেখেছেনই, এখানে অস্ট্রেলিয়ার কী অবস্থা হয়েছে এবং অন্য দলগুলি কতটা ধুঁকেছে।”

টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ১০ বারের দেখায় প্রতিবারই জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। তবে কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে অজেয় ছিল অস্ট্রেলিয়াও। এই মাসেই তারা এখান থেকে সিরিজ হেরে গেছে ৪-১ ব্যবধানে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং খাবি খেয়েছে বারবার।

নিউ জিল্যান্ড সিরিজেও উইকেট একইরকম থাকবে বলে বেনেটের ধারণা এবং সেটায় তারা কোনো আপত্তিও দেখছেন না।

“বাংলাদেশ যখন নিউ জিল্যান্ড সফরে যায়, আমরা গতিময় ও বাউন্সি উইকেট রাখি, যা তাদের অস্বস্তিতে ফেলে। আমরা এখানে এলে তারা টার্নিং উইকেট বানায়, যেখানে আমরা অভ্যস্ত নই। আমার তো মনে হয়, এটা দারুণ।”

“অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যা দেখেছি, ১২০ রানের উইকেট পেয়ে প্রতিটি ব্যাটসম্যানই হয়তো আপত্তি করবে, কিন্তু বোলারদের পরিসংখ্যানের দিক থেকে এটা দারুণ। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশ সবুজ ও বাউন্সি উইকেট পায়, এখানে তো কিছু তাদের পক্ষে থাকবেই। আমরা সেই চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে আছি।”

চ্যালেঞ্জ জয়ের মিশনে তারা দেশ থেকে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। বিশ্লেষণ করেছে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজের খুঁটিনাটিও। তবে প্রস্তুতি আর মাঠের লড়াই যে ভিন্ন, তা জানেন বেনেট।

“লিঙ্কনে অনেক ব্যবহারে জীর্ণ উইকেটে খেলে প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা, যা দারুণ প্রস্তুতি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওদের সিরিজটাও খুব ভালো হয়েছে আমাদের জন্য, আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে।”

“তবে এসব জানা এক ব্যাপার, এই কন্ডিশনে খেলা অন্য ব্যাপার। সিরিজ শুরুর আগে চার-পাঁচদিন ট্রেনিং করতে পারব আমরা। সেখানেই আশা করি বুঝতে পারব, আমাদের পরিকল্পনা এখানকার উইকেটে কতটা কাজে দেবে।”

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে মঙ্গলবার ঢাকায় এসে কোয়ারেন্টিনে আছে নিউ জিল্যান্ড দল। তিন দিন কোয়ারেন্টিন শেষে তারা অনুশীলন শুরু করতে পারবেন।