ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সবরকম ছবিই দেখা আছে কোহলির। ২০১৪ সালের সফর তার জন্য ছিল বিভীষিকার। ১০ ইনিংসে কেবল ১৩৪ রান করেছিলেন ১৩.৪ গড়ে। ২০১৮ সালের সফর ছিল সাফল্য রাঙা। এবার ১০ ইনিংসে ৫৯৩ রান করেন ৫৯.৩০ গড়ে।
এবারের সফরে আবার তাকে এখনও দেখা যায়নি সেরা ছন্দে। দুই টেস্টের তিন ইনিংসে ফিফটি পাননি এখনও।
সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের উইকেট-কন্ডিশনে ব্যাটিংয়ের ধারাপাত তার জানা আছে ভালোই। তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই শোনালেন এখানে ব্যাটিং কতটা চ্যালেঞ্জিং।
“ইংল্যান্ডে কখনোই বলা যাবে না যে কোনো ব্যাটসম্যান এখন থিতু। ইগো পকেটে রাখতে হয় এখানে। অন্যান্য জায়গায় ৩০-৪০ রান করতে পারলেই নিজের চাওয়ামতো শট খেলার পথ খোঁজা যায়। কিন্তু এখানে কন্ডিশন ভিন্ন। প্রথম ৩০ রান যেভাবে খেলে করতে হয়, ওই একইভাবে পরের ৩০ করতে হয় এবং যতটা সম্ভব পুনরাবৃত্তি করে যেতে হয়। এই শৃঙ্খলা ও ধৈর্য এখানে দরকার।”
বাংলাদেশে খেলা একটি টেস্ট বাদ দিলে কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে ব্যাটিং গড় ইংল্যান্ডেই। ১৩ টেস্ট খেলে ৩৩.৮৪। তার কাছে ইংল্যান্ডে ব্যাট করাই গোটা ক্রিকেট বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন।
“ধৈর্য না ধরলে ইংল্যান্ডে যে কোনো সময়ই আউট হয়ে যেতে হয়। তা সে যত অভিজ্ঞ হোক বা যত রানই করে আসুক। ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া এখানে জরুরি। কারণ আমার মতে, ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন।”