স্রেফ বাইরে থেকে দেখে বা শুনে নয়, নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এই কথা বলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে ১৬ টেস্ট খেলা কম্পটন। ২০১২ সালে নিজের অভিষেক সিরিজেই নাকি কোহলির কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের চলমান সিরিজে কোহলির আচরণ দেখে পুরনো সেই কথা মনে পড়ে গেছে ৩৮ বছর বয়সী এই ইংলিশ ক্রিকেটারের।
সদ্য সমাপ্ত লর্ডস টেস্টে জস বাটলার, জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে কোহলিকে। এভাবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় বা মাঠে মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা কোহলির ক্যারিয়ারে আছে অসংখ্য। শরীরী ভাষার জন্য যেমন প্রশংসা পেয়েছেন অনেক, তেমনি এসবের জন্য সমালোচনাও তার কম জোটেনি ক্যারিয়ারে।
কম্পটন যেমন বললেন, ৯ বছর আগে কোহলির অশ্রাব্য ভাষার আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
“কোহলিই সবচেয়ে মুখ-খারাপ ব্যক্তি নয় কী। ২০১২ সালে গালিগালাজের যে স্রোত আমার দিকে ধেয়ে এসেছিল, সেসব কটূক্তি আমাকে এতটাই হতবাক করেছিল যে মনে হয়েছিল নিজেকেই খাটো করেছে সে। এতেই ফুটে ওঠে, রুট, টেন্ডুলকার, উইলিয়ামসনরা কতটা ঠাণ্ডা মাথার ও বিনয়ী।”
শুধু ক্রিকেটারই নয়, ম্যাচ অফিসিয়ালসদের সঙ্গেও কোহলির আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নানা সময়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালে এমন এক ঘটনায় তার প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার, সাবেক ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ডেভিড লয়েড। ভারত অধিনায়ককে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।