আগামী ৩১ অগাস্ট বাংলাদেশে পা রাখার কথা আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। সিলেটে তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা পাঁচ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে যুব টেস্ট।
আফগানিস্তানের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সিরিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনার কারণ আছে যথেষ্টই। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি সোমবার জানালেন, তারা এখনও আফগান বোর্ড থেকে নেতিবাচক কোনো কিছু শোনেননি।
“আমাদের পরিকল্পনা, লজিস্টিকাল কাজ, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। তারা যদি না আসতে পারে, এটা তাদের বিষয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই (সফরে না আসার)।”
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাউসার শোনালেন আরও বেশি আশার কথা।
“৩১ অগাস্ট ওদের আসার কথা, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনও ওই সূচিতেই আছে। ওরা খুবই আশাবাদী যে সফরে আসতে পারবে। হয়তো ওখানে পালাবদলের পর ওদের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হতে দুই-দিন দিন সময় লাগবে। এই সময়টা ওরা নিচ্ছে। তবে তাদের প্রক্রিয়া গোছানোই আছে এবং আমাদেরকে তারা জানিয়েছেন যে, তাদের দলের অনুশীলনও চলছে।”
সিরিজটি হচ্ছে ধরে নিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলনের প্রস্তুতিও এগোচ্ছে। সিরিজের আগে সিলেটেই ক্যাম্প করবেন যুব ক্রিকেটাররা। স্কোয়াডে থাকছেন ২৫ জন। কোচ নাভিদ নওয়াজও আছেন ঢাকাতেই।
প্রয়োজনে সিরিজ পিছিয়ে গেলেও আপত্তি নেই বিসিবির। গত যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে বড় অবদান ছিল আগের দুই বছরে প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি নেওয়া। এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ দল কোভিড পরিস্থিতির কারণে ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগই পাচ্ছে না সেভাবে। এমনকি ক্যাম্পও চালু হয়ে মহামারীর কারণে আবার বন্ধ করতে হচ্ছে বারবার।
এই সিরিজটি খেলতে তাই বাংলাদেশ মরিয়া, জানালেন গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার।
“আমাদের ছেলেরা সবাই রিপোর্ট করেছে, ওদের জৈব-সুরক্ষা প্রটোকল শুরু হয়ে গেছে। কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া চলছে। পরীক্ষা হচ্ছে। আশা করছি, ১৯ তারিখ ওরা সিলেট রওনা দেবে। সেখানেই হবে প্রস্তুতি।”
“আমরা খুবই আগ্রহী সিরিজটি খেলতে। আমাদের খেলতে হবে। আমরা চাই ওরা আসুক, নিরাপদে থাকুক। সব ব্যবস্থাই আমরা করব।”