জ্যামাইকা টেস্টের নাটকীয় চতুর্থ দিনে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পান সিলস।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে এই পেসার নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে রোববার তিনি নাম লেখান রেকর্ড বইয়ে। ১৯ বছর ৩৩৬ দিন বয়সে তিনি ক্যারিবিয়ানদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ৫ উইকেট শিকারি। পেছনে পড়ে যায় ৭১ বছর আগে গড়া আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের কীর্তি।
তবে এমন বোলিংয়ের পরও তার কাজ শেষ হয়নি। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ১৬৮ রান তাড়ায় যখন নবম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জয় পেতে তখনও প্রয়োজন ১৭ রান। কেমার রোচের সঙ্গে উইকেটে যোগ দেন শেষ ব্যাটসম্যান সিলস।
সিলসের কাজ ছিল স্রেফ রোচকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া। কিন্তু নবীন একজন পেসারের জন্য সেই কাজটি সহজ ছিল না মোটেও। হাসান আলি, শাহিদ শাহ আফ্রিদিরা তখন আগুন ঝরাচ্ছেন বোলিংয়ে। সিলস তবু লড়াই চালিয়ে যান।
শেষ পর্যন্ত রান করতে পারেন কেবল ২। তবে বল খেলেন ১৩টি। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যা মহামূল্য। রোচ অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবিয়ানরা।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে ভালো লাগায় হাবুডুবু খেয়ে ঠিকমতো কথাই বলতে পারছিলেন না।
“ওই পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর কেমন লেগেছে…সেই অনুভূতি শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা। টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারাই আমার জন্য স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো… (কথা বলতে পারছিলেন না)।”
“ব্যাটিংয়ে আমার জন্য কাজটি ছিল রোচকে যতটা সম্ভব স্ট্রাইক দেওয়া। আমরা বলছিলাম, ইতিবাচক থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা লক্ষ্য ছুঁতে পেরেছি।”