তৃতীয় দিন শনিবার শেষ বেলায় ৩৯১ রানে গুটিয়ে গেছে ইংলিশদের প্রথম ইনিংস। ভারতকে আগের দিন ৩৬৪ রানে থামিয়ে দেওয়া দলটি এগিয়ে আছে ২৭ রানে।
এতে সবচেয়ে বড় অবদান ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটানো রুটের। ইংল্যান্ডের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক বছরে করলেন পাঁচটি সেঞ্চুরি।
আগের দিন রুট যখন ক্রিজে এসেছিলেন, দল তখন চাপে। মোহাম্মদ সিরাজের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়ার পর থেকে অধিনায়কোচিত ইনিংসে টেনেছেন দলকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গেছেন ১৮০ রানে। এই রান করার পথে অভিষেকের পর থেকে সবচেয়ে কম দিনে ৯ হাজার রানের মাইলফলক ছোয়ার রেকর্ড গড়েছেন।
তার অর্জনের দিনটিকে ইংল্যান্ডের জন্য আরও ভালো হতে দেননি সিরাজ ও ইশান্ত। শেষ সেশনে তাদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। লিড হতে দেয়নি বড়। ৯৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের সফলতম বোলার সিরাজ। টেস্টে ফেরার ম্যাচে ইশান্ত ৩ উইকেট নেন ৬৯ রানে।
৩ উইকেটে ১১৯ রানে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় রুট ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে। প্রথম সেশনে দুই ব্যাটসম্যান যোগ করেন ৯৭ রান। জুটিতে অগ্রণী ছিলেন বেয়ারস্টো, তার ফিফটি আসে ৯০ বলে। এর আগে ৮২ বলে ফিফটিতে পৌঁছান রুট।
উইকেটে এ দিন বোলারদের জন্য ততটা সহায়তা ছিল না। পুরান বলে ব্যাটসম্যানদের খুব একটা ভাবাতে পারছিলেন না বোলাররা। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতেই আসে উইকেট। শরীর তাক করে আসা সিরাজের শর্ট বল ঠিক মতো পুল করতে পারেননি বেয়ারস্টো। স্লিপে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান বিরাট কোহলি। ভাঙে ১২১ রানের জুটি।
৭ চারে ১০৭ বলে ৫৭ রান করেন বেয়ারস্টো।
সাবলীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রুট। মইন আলি ছিলেন বেশ সাবধানী। তাদের আরেকটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে মিলেছিল বড় লিডের আভাস। কিন্তু পরপর দুই বলে মইন ও স্যাম কারানকে ফিরিয়ে মোড় ঘুরিয়ে দেন ইশান্ত।
অলিভার রবিনসনকে দ্রুত ফিরিয়ে ভারতের লিডেরও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সিরাজ। কিন্তু মার্ক উড ও জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দলকে চারশ রানের কাছে নিয়ে যান রুট।
উড ফিরেন ৫ রান করে। শূন্য রানে জেমস অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ৩৯১ রানে থামিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। স্বাগতিকরা শেষ ৫ উইকেট হারায় কেবল ৫০ রানে।
আশা জাগিয়েও সঙ্গীর অভাবে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি রুটের। তবে ১৮০ রানের ইনিংসে গড় আবার পঞ্চাশে নিয়ে গেলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৩৬৪
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২৮ ওভারে ৩৯১ (রুট ১৮০*, বেয়ারস্টো ৫৭, বেয়ারস্টো ২৩, বাটলার ২৭, কারান ০, রবিনসন ৬, উড ৫, অ্যান্ডারসন ০; ইশান্ত ২৪-৪-৬৯-৩, বুমরাহ ২৬-৬-৭৯-০, শামি ২৬-৩-৯৫-২, সিরাজ ৩০-৭-৯৪-৪, জাদেজা ২২-১-৪৩-০)।