ভারতের প্রথম ইনিংসে অ্যান্ডারসন ৫ উইকেট নেন ৬২ রানে। ম্যাচটি শুরু করেছিলেন তিনি ৩৯ বছর ১৩ দিন বয়সে। গত ৭০ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে এত বেশি বয়সে ৫ উইকেট শিকারের স্বাদ পাননি আর কোনো পেসার।
ভারতের বিপক্ষে তিনি টেস্ট ইতিহাসেই সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট শিকারী পেসার।
সবশেষ ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেফ চাব, ৪০ বছর ৮৪ দিন বয়সে।
এরপর এতদিন সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট নেওয়া পেসার ছিলেন স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। নিউ জিল্যান্ডের এই কিংবদন্তি ১৯৯০ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই এজবাস্টনে এই কীর্তি গড়েছিলেন ৩৯ বছর ২ দিন বয়সে। এবার বয়সে হ্যাডলিকে ছাড়িয়ে গেলেন অ্যান্ডারসন।
ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট শিকারি পেসার এতদিন ছিলেন নিউ জিল্যান্ডের বেভ কংডন। ১৯৭৬ সালে অকল্যান্ডে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ৩৭ বছর ৩৪৭ দিন বয়সে।
পেসার হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়তে হলে অবশ্য আরও বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে অ্যান্ডারসনকে। ৪০ বছর ৩০১ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি ইংল্যান্ডেরই কিংবদন্তি সিডনি বার্নসের। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে দুই ইনিংসেই ৭টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, ১৯১৪ সালে।
এই ৫ উইকেট নিয়ে লর্ডসে অ্যান্ডারসনের উইকেট হলো ১১০টি। টেস্ট ইতিহাসে তিনিই একমাত্র পেসার, এক মাঠে যার উইকেটের সেঞ্চুরি আছে। লর্ডসের বোলিং অনার্স বোর্ডে তার নাম উঠল এবার নিয়ে সপ্তমবার। আরেকবার ৫ উইকেট নিলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন এই মাঠে ইয়ান বোথামের ৮ বার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।