আগামী মাসেই পাকিস্তানের সীমিত ওভারের এই সিরিজটি খেলবে নিউ জিল্যান্ড। এর আগে তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে যাবে বাংলাদেশেও। এই দুই সফরে নেই কিউইদের নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ডেভন কনওয়ে, জিমি নিশামসহ একাগাদা শীর্ষ ক্রিকেটার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম বললেন, একের পর এক সিরিজে এরকম খর্বশক্তির দলের সঙ্গে খেলা তাকে অবাক করছে।
“পাকিস্তান দল যেখানেই যাচ্ছে, মূল ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। আমি এটা বুঝতেই পারছি না। এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলাম আমরা, তাদের ক্রিকেটারদের তারা আইপিএলে পাঠিয়ে দিল। সামনে নিউ জিল্যান্ড আসছে পাকিস্তানে, তাদের ৮ ক্রিকেটারকে তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে আইপিএলে। আমার কাছে তো বিস্ময়কর লাগছে। এমনকি ইংল্যান্ড সফরেও, কোভিডের কারণে পুরো ইংল্যান্ড দলই বদলে গিয়েছিল।”
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাকিস্তানের চারটি টি-টোয়েন্টির তিনটিই ভেসে যায় বৃষ্টিতে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতি তিনি চিন্তিত ইনজামাম। ৫১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার কাঠগড়ায় তুললেন আইসিসিকেও।
“আমার মনে হচ্ছে, মূল ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে না পারায় পাকিস্তান দলের অনুশীলন ঠিকমতো হচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে একটি সুযোগ ছিল, বৃষ্টির জন্য খেলতেই পারলাম না আমরা।”
“অন্য দলগুলি কি আমাদেরকে ‘বি’ দল মনে করে নাকি খেলতেই চায় না? আইসিসি কি করছে? তারা কি ঘুমিয়ে আছে? তারা কি বার্তা দিতে চাচ্ছে?”
পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন বলে বিবেচিত ইনজামাম বিরক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলো নিয়েও।
“ক্রিকেটাররা প্রাইভেট লিগগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এটা অপমানজনক। পুরো ব্যাপারটি দেখলে বুঝবেন, কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই এরকম হচ্ছে। তারা কি পাকিস্তানকে অপমান করতে চেষ্টা করছে? বুঝতেই পারছি না। আমাদের পুরো প্রস্তুতি নির্ভর করছে জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।”
“মনে হচ্ছে, এক বছর ধরে সত্যিকারের ক্রিকেট আমরা খেলতেই পারছি না। এটা ভাবার বিষয়। পাকিস্তান কেন আইসিসির কাছে অভিযোগ করছে না? এসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকলে ক্রিকেটারদের প্রাইভেট লিগে খেলতে দেওয়া উচিত নয়।”
‘কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই হচ্ছে’, ইনজামামের এই কথা অবশ্য ঠিক নয় পুরোপুরি। সম্প্রতি শীর্ষ ৭-৮ জন ক্রিকেটার ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিকল্প দল সফর করেছে শ্রীলঙ্কায়। নিউ জিল্যান্ড দল বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তানের চেয়ে দুর্বল দল নিয়ে। কিউইদের বিশ্বকাপ দলের একজনও নেই বাংলাদেশ সফরে দলে, পাকিস্তান সফরের দলে তবু ৫ জন আছেন।