মাঠে নেমে নিজের কথা ভাবা আমার মধ্যে নেই: সোহান

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজে দারুণভাবে আলোচনায় উঠে এসেছেন নুরুল হাসান সোহান। পরিসংখ্যান হয়তো অতটা ফুটিয়ে তুলছে না, তবে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দুর্দান্ত কিপিং, মাঠে প্রাণবন্ত উপস্থিতি, গোটা দলকে উজ্জীবিত রাখা, সব মিলিয়ে নজর কেড়েছেন দারুণভাবে। লম্বা বিরতির পর জাতীয় দলে ফিরে এই সিরিজের আগে ভালো পারফর্ম করেছেন জিম্বাবুয়ে সফরেও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কিপার-ব্যাটসম্যান কথা বললেন তার ফেরা, সিরিজ জয়, নিজের পারফরম্যান্স আর ক্রিকেট ভাবনায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2021, 01:27 PM
Updated : 11 August 2021, 01:31 PM

‘নেন ভাই নেন, তাড়াতাড়ি শেষ করেন। অনেকদিন পর বাসায় যাব’, আপনার এই কথা তো মোটামুটি ভাইরাল। সাকিব দ্রুত ম্যাচ শেষও করে দিলেন। তো বাসায় গিয়ে কি করলেন?

নুরুল হাসান সোহান: (হাসি) তেমন কিছু না…। আসলে অনেক দিন বাবলে ছিলাম। শেষ ম্যাচ ছিল সেটি, বেশির ভাগ আমরা হোটেল থেকে চেক আউট করেই মাঠে এসেছিলাম। মাঠ থেকে সরাসরি বাসায় ফিরেছি। পরেরদিন একটু ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে, স্ত্রী অসুস্থ ছিল।

আগে এতটা এমন লাগত না। এখন বাচ্চাটার জন্য মন পোড়ে। এই ৭ তারিখে ২ বছর হলো। আমি বাসায় ফেরার পর দরজার সামনে এসে একটু লজ্জা পেল বাবাকে এতদিন পর দেখে। অল্প অল্প কথা বলে এখন।

বায়ো-বাবলে লম্বা সময় থাকা অনেক কঠিন মানসিকভাবে। তবে পেশাদার হিসেবে কিছু তো করার নেই। কোভিডের সময় এভাবেই চলতে হবে।

ম্যাচের সময় উইকেটের পেছন থেকে বলা আপনার অনেক কথাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে গেছে!

সোহান: আমি আসলে অতটা এসব ফলো করি না। এসব এতটা ভাবি না। সিরিজের সময় বেশির ভাগ সময়ই ফেইসবুক ডিঅ্যাক্টিভেটেড ছিল। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ ছিল। বাসায় ফিরে আবার চালু করেছি। 

আমি তো বুঝিনি সব কথা স্টাম্প মাইকে এত স্পষ্ট শোনা যাবে। সিরিজের সময় বুঝিনি। সোশাল সাইটেও আসিনি সেভাবে। এখন দেখছি এত আলোচনা হচ্ছে, ভিডিও ছড়িয়েছে। হতে পারে আমরা সিরিজটি জিতেছি, সবাই খুশি, এজন্য এত আলোচনা হচ্ছে। আমার কাছে খুব বেশি ম্যাটার করে না আসলে।

লোকে তো বলাবলি করছে, যে কোনো গণ্ডগোলে এখন আপনাকে ডেকে পাঠানো হবে! ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে থিসারার পেরের দিকে সেই আঙুল তোলা, এবার মিচেল মার্শের সঙ্গে শরিফুলের কথা কাটাকাটিতেও আপনি যথারীতি দৃশ্যপটে…

সোহান: আমি উইকেটের পেছনে থাকি, যে কোনো কিছুতে এমনিতেই এসে যাই। আর ব্যাপারটি আমি যেভাবে দেখি, যখন যে দলেই খেলি না কেন, জাতীয় দল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট, সব দলকেই আমি পরিবার মনে করি। একদম মন থেকে। তো আমার পরিবারের কারও সঙ্গে অন্য কারও কিছু হলে, সবসময় তো আমার এগিয়ে যাওয়া উচিত। আমি এভাবেই দেখি।

মার্শের সঙ্গে কি হয়েছিল সেদিন শরিফুলের?

সোহান: সে শরিফুলকে বাজে ভাষায় একটা কথা বলেছিল। পরে রিয়াদ ভাই গেলেন এগিয়ে। আমিও গিয়ে বললাম, ‘অশ্লীল কথা বলার তো দরকার ছিল না। আমরা এসব করি না।’ এসবই। পরে কথায় একটু কথা বেড়েছে।

আপনি স্লেজিং করেন?

সোহান: দলকে উজ্জীবিত করার জন্য আর প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার জন্য যেটুকু কথা বলতে হয়, করি। আমি আসলে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার বা গালি দেওয়া পছন্দ করি না। পরিস্থিতির যেরকম দাবি থাকে, সেটা করার চেষ্টা করি। ক্রিকেটীয় কথাই বলার চেষ্টা করি।

ধরেন, কোনো ব্যাটসম্যান চাপে আছ, তখন এমন কিছু বলতে থাকি যেন তার মাথায় সেসব ঘুরতে থাকে এবং আরও চাপে পড়ে।

ম্যাথু ওয়েড যখন উইকেটে গেল শেষ ম্যাচে, তাকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে উইকেট কত কঠিন। সে বলল, ‘খুব কঠিন উইকেট। বাংলাদেশে এসে টেস্টেও রান পাইনি (২০১৭ সালে)।’ গল্পের মতো করেই কথা বলছিলাম, তার মাথায় কিন্তু ব্যাপারটিই ঘুরছিল যে এই উইকেটে কখনোই রান করেনি। এই কথার একটু পরই সে আউট হয়ে যায়। তো, এসব করাই যায়।

ওরা এবার শুরুর দিকে বেশ স্লেজিং করেছে। প্রথম দুই ম্যাচের পর আর অতটা করেনি।

দল তো স্মরণীয় এক সিরিজ জয় পেল। কিন্তু আপনার নিজের পারফরম্যান্স কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

সোহান: দলের কথা আগে বলি। আমার কাছে দলই সব। আমরা জিম্বাবুয়েতে থাকতেই এই সিরিজ নিয়ে আলোচনা করেছি। তখনই জানতাম যে উইকেট এরকম থাকবে। এজন্য আমাদের কথা হয়েছিল যে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দারুণ কিছু করে দলকে জেতানো এখানে কঠিন হবে। টিম পারফরম্যান্স লাগবে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

পরে সাকিব ভাই ড্রেসিং রুমে বললেন, ‘এই প্রথম একটা সিরিজ, আমরা পুরো দল হিসেবে খেললাম।’ মানে, নরম্যালি সব সিরিজেই কেউ বা কেউ কেউ অনেক ভালো খেলে জিতিয়ে দেয়। এখানে বড় অবদান কারও নেই। ছোট ছোট অবদান অনেকের। দলের যেটুকু লাগে, কেউ না কেউ করে ফেলেছে।

আর নিজের কথা বললে, একটা সময় সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে ভাবতাম। এখন ওই ব্যাপারটা থেকে বের হতে পেরেছি। ওসবের মূল্য নেই আমার কাছে। এখন শুধু ভাবি, কঠোর পরিশ্রম করব, প্রসেস ঠিক রাখব। যেটুকু আমার প্রাপ্য, আল্লাহ নিশ্চয়ই দেবেন। অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করি না।

অনেক দিন দলের বাইরে থাকার সময় কি এই উপলব্ধি হয়েছে?

সোহান: অনেকটা তাই। দলের বাইরে থাকার সময়, নিজের কাছে প্রশ্ন করেছি, আমি কি নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি? সত্যিকারের কঠোর পরিশ্রম করেছি? উত্তরটা পেয়েছি। তারপর পরিশ্রম করা শুরু করেছি।

আমি দেখেছি যে, সুযোগ পাচ্ছি না বা ভালো করতে পারছি না, এসব ভাবলে বরং মানসিকতা নেতিবাচক হয়ে ওঠে। হতাশা কাজ করে। নিজেকে অনুপ্রাণিত করা কঠিন হয়। এজন্যই ওসব নিয়ে না ভেবে আমি শুধু নিজের কাজ ঠিকভাবে করে যেতে চাই। আমার হাতে যতটুকু আছে, সেখানে কোনো ফাঁক রাখতে চাই না। নিজের ভুল বা ঘাটতির জায়গা ঠিক করার চেষ্টা করি।

সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও একদিন কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘হচ্ছে না, পাচ্ছি না, এসব চিন্তা করলে ভালো কিছু হয় না কখনও।’ মুশফিক ভাইয়ের কাছ থেকেও অনেক শিখি, অনেক কথা বলি। বিশেষ করে, তার পরিশ্রম নিয়ে।

জাতীয় দলে কয়দিন থাকব বা থাকব না, এসব নিয়ে ভাবিই না। শুধু প্রসেস ঠিক রাখতে চাই, চেষ্টা করে যেতে চাই। ভবিষ্যতে কখনও যেন মনে না হয় যে আমি নিজের সর্বোচ্চটা দেইনি, শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করিনি। তারপর সাফল্য পাই বা ব্যর্থ হই, কোনোটাই আমার কাছে ম্যাটার করবে না।

তার পরও, নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনা আছে না?

সোহান: আছে অবশ্যই, তবে ভাবনায় বদল এসেছে অনেক। আমার কাছে দলের প্রয়োজন মেটানোই আসল কথা। ফিফটি-সেঞ্চুরি, এসব নিয়ে ভাবি না। দলের কাজে লাগলে ১০-১৫ রানই আমার কাছে বড়।

এখন আমাকে যে ভূমিকায় খেলানো হচ্ছে, আমার কাজ খেলা শেষ করে আসা। পরিস্থিতি যেমনই থাকুক, এটাই আমার চাওয়া থাকে। সেটি সবসময় পারছি না। জিম্বাবুয়েতে যেমন দুই-তিনটি ম্যাচে অপরাজিত থেকেছি, এখানে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এক ম্যাচে আমি আর আফিফ শেষ করেছি। অন্যগুলোয় সেভাবে পারিনি। উইকেট যেমনই হোক, উচিত ছিল মানিয়ে নিয়ে খেলা শেষ করে আসা।

এই জায়গাগুলোয় আমার আরও অনেক উন্নতি করতে হবে। আমি চাই যেন ৮০-৯০ ভাগ ম্যাচ শেষ করে আসতে পারি। জানি, কাজটা কঠিন। কিন্তু যেহেতু দলে এই দায়িত্ব আমার, আমি চাই যত বেশি সম্ভব এটা করতে।

ফিফটি-সেঞ্চুরির ইচ্ছে নেই, এরকম ব্যাটসম্যান হয় সত্যি?

সোহান: ইচ্ছে অবশ্যই আছে। কার না থাকে! কিন্তু লোভ নেই। গত দুই-তিন মৌসুম ধরে অধিনায়কত্ব করছি, শেখ জামাল ক্লাবের, খুলনা দলের, আমি চাইলেই ওপরে ব্যাট করতে পারি অনেক ম্যাচে। ফিফটি-একশ করার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু আমি দলের প্রয়োজন দেখি। কোথায় আমাকে বেশি দরকার। কোথায় বেশি কাজে লাগতে পারে। আমার কাছে দলের প্রয়োজনে করা ২০ রান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আমার কাছে নিজের প্রতি সৎ থাকাটাই আসল। আমার ভেতরে এটা কাজ করে যে ব্যক্তিগত কিছু ভেবে মাঠে নামলে আমি সফল হব না।

আর সত্যি বলতে, ব্যক্তিগত কিছু নিয়ে চিন্তা করার ব্যাপারটি আমার সঙ্গে ম্যাচ করে না। আমি ওটা নিতেই পারি না। ক্রিকেট মাঠে নেমে নিজের কথা ভাবা আমার সিস্টেমে নাই। আমি যখন যে দলেই খেলি না, দলের প্রয়োজনের সময় ১০ রান করতে পারলেও শান্তি আসে মনে।

ব্যাটিংয়ের কথা বললেন, আপনার কিপিং পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন যদি করতে বলা হয়?

সোহান: এখানেও একই কথা। আমার চাওয়া থাকে, যতভাবে দলে অবদান রাখা সম্ভভ। কিপিং আমার কাছে স্রেফ গ্লাভস হাতে দাঁড়ানো বা বল ঠিকঠাক ধরাই নয়, আরও অনেকভাবে দলে সম্পৃক্ত থাকা ও অবদান রাখার সুযোগ আছে এখানে। কথা বলা, সবাইকে উজ্জীবিত রাখা, উইকেটের পেছন থেকে টেকনিক্যাল বা অন্য কোনো কিছু চোখে পড়লে, সেসব বোলার বা অধিনায়ককে জানানো… এরকম আরও অনেক কিছু।

এই সিরিজে যেমন, মিচেল মার্শ যখন মুস্তাফিজকে খেলতে পারছিল না, তখন দেখছিলাম একবার ক্রিজের অনেক ভেতরে আসছে, আরেকবার বাইরে যাচ্ছে। আমি সেভাবেই মুস্তাফিজকে জানিয়েছি।

ক্রিকেট মাঠে এরকম অনেকভাবেই অবদান রাখা যায়। কিপিংয়ে থেকে সুযোগ বেশি। আমি সবকিছুতেই শতভাগের বেশি অবদান রাখতে চাই।

সামনের সিরিজে মুশফিক-লিটনরা ফিরলে আপনার জায়গা নাও হতে পারে দলে। কিংবা একাদশে সুযোগ নাও হতে পারে…

সোহান: এসবও ভাবি না আর। ম্যাচ খেলছি না বা সুযোগ পাচ্ছি না, এসব নিয়ে বসে থাকলে নিজের প্রসেস ঠিক থাকে না। এখন জাতীয় দলের পরিবেশই এরকম যে ওভাবে ভাবার সুযোগ নেই। তাইজুলকে দেখুন, গত দুই সিরিজে একটি ম্যাচও খেলেনি। তার পরও জিম করা, ট্রেনিং করা, এসবে কোনো ঘাটতি ছিল না।

সুযোগ পাচ্ছি না বা অমুক ফিরলে তমুক হবে, এসব ভাবা নিজের জন্য যেমন খারাপ, দলের জন্যও। হ্যাঁ, জায়গা নিয়ে লড়াই থাকা ভালো। কিন্তু সুযোগটা শেষ পর্যন্ত যে পাবে, তাকে সবাই মিলে সাপোর্ট করতে হবে। আমাদের দলে এখন সেটাই হচ্ছে। দলের পরিবেশ খুব ভালো।

শুধু জাতীয় দলে নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই সংস্কৃতি থাকা উচিত বলে মনে করি আমি। একটা দলের ড্রেসিং রুমে কারও এই ভাবনা থাকা উচিত নয় যে খেলতে পারছি না বা বসে আছি, হতাশ। কিংবা এটা চাওয়া উচিত নয় যে ‘অমুক খারাপ করুক, তাহলে আমার সুযোগ আসবে।’ এটা দলের জন্য খুব খারাপ, ড্রেসিং রুমে বাজে বার্তা দেয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও সবাই এভাবে ভাবলে আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতির বদল হবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।

জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সুযোগ পেলেন, সাড়ে চার বছর পর আপনার প্রথম ওয়ানডে সেটি। তখনও কি মনে হয়নি যে খারাপ করলেই বাদ পড়তে হবে আবার?

সোহান: এটা এখনও সত্যি। যতদিনই খেলব জাতীয় দলে, আমি জানি যে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচের আগে নার্ভাস ছিলাম হালকা। তবে ব্যর্থ হলে কী হবে, আবার সুযোগ পাব কিনা, ওসব ভাবিনি।

তামিম ভাই সফরের শুরুতেই বলে দিয়েছিলেন যে তৃতীয় ওয়ানডেতে আমাকে খেলাবেন। মানসিক প্রস্তুতি তাই ছিল। তামিম ভাই অনেক সহায়তা করেছেন। সিনিয়ররাসহ অন্য সবাই আসলে সহায়তা করেছেন। জিম্বাবুয়ের আগে শ্রীলঙ্কা সফরেও ছিলাম দলের সঙ্গে। সিনিয়রা ১৪-১৫ বছর ধরে খেলছেন। উনারা কিভাবে প্র্যাকটিস করেন, কী কী করা উচিত, সবসময় কথা হতো উনাদের সঙ্গে।

কোচিং স্টাফদের কতটা পাশে পাচ্ছেন?

সোহান: এখনকার কোচিং বেশ সাহায্য করে এবং পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে। আমি তো আগেও দলে ছিলাম। ওই সময় কোচিং স্টাফে যারা ছিলেন, নাম উল্লেখ করছি না, তাদের সময় যারা ম্যাচ খেলত না বা একাদশে থাকার চান্স কম, তাদের নিয়ে সেভাবে কাজ করা হতো। ব্যাটিংয়ের চান্স বা অন্য কিছু কম মিলত। এখনকার কোচিং স্টাফের আলাদা পরিকল্পনা থাকে ম্যাচ না খেলাদের নিয়েও। চার-পাঁচ ম্যাচ না খেলে কেউ একটি ম্যাচে সুযোগ পেলে আর অপ্রস্তুত থাকে না। দলের ১৬-১৭ জনকে নিয়েই তাদের পরিকল্পনা থাকে। ডমিঙ্গো সবসময় বলতেন ইন্টেন্ট ও প্রসেস যেন ঠিক থাকে।