মিরপুরে জেতাতে হবে, বোলারদের আগেই বলেছিলেন অধিনায়ক

জিম্বাবুয়েতে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব ছিল বেশি। কিন্তু মিরপুরে চিত্রটা হবে উল্টো, আগেই অনুমান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বোলারদের বলেছিলেন, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তাদেরই জেতাতে হবে। অধিনায়ককে হতাশ করেননি বোলাররা। মন্থর, নিচু টার্নিং উইকেটে গড়ে দিয়েছেন ব্যবধান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2021, 07:17 PM
Updated : 9 August 2021, 07:17 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৬০ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। সিরিজ ঘরে তুলেছে ৪-১ ব্যবধানে।

সিরিজ জুড়ে ছিল বোলারদের দাপট। তিন বা এর বেশি ম্যাচের সিরিজে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই এই প্রথম ওভার প্রতি রান এসেছে ছয়ের কম। পাঁচ ম্যাচে দুই দলের ১০ ইনিংস মিলিয়ে রান রেট কেবল ৫.৮৫, সর্বোচ্চ কেবল ১৩১।

বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের জবাব খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে ১৭ ওভারে তিনি দিয়েছেন কেবল ৬০ রান। ওভার প্রতি স্রেফ ৩.৫২ করে। সঙ্গে নিয়েছেন ৭ উইকেট।

ওভার প্রতি ৫.১১ রান করে দিয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ৮ উইকেট। ৫.৮৮ করে দিয়ে অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের শিকার চার উইকেট।

একটু খরুচে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসার ৬.৩৮ করে রান দিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। সাকিব সমান উইকেট পেয়েছেন ওভার প্রতি প্রায় সাড়ে ছয় করে রান দিয়ে। 

ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তির সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কেবল মিচেল মার্শ করতে পেরেছেন একশর বেশি রান। ১৫৬ রান করা টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান ছাড়া পঞ্চাশ ছাড়াতে পেরেছেন কেবল বেন ম্যাকডারমট (৫৭)।

বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান সাকিব (১১৪) ও আফিফ হোসেনের (১০৯) একশর বেশি রান। কাছেই ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ নাঈম, দুই জনই ৯১ করে। পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন মেহেদি হাসানও (৭২)। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক জানালেন, এই সিরিজে বোলারদের ভূমিকা কি হতে পারে আভাস দিয়ে রেখেছিলেন আগেই।   

“বোলারদের সবাই মিলিতভাবে খুব ভালো করেছে। ওদের বেশ ভালোভাবেই উন্নতি হচ্ছে। জিম্বাবুয়ে ও এখানে আমাদের পেসার ও স্পিনাররা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওরা স্নায়ু চাপ ধরে রেখেছে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে চাপ থাকবেই।”    

“এই সিরিজ শুরুর আগে আমি বোলারদের সঙ্গে বসেছিলাম। ওদের বলেছিলাম, এখানে জেতানো ওদের দায়িত্ব। এই উইকেটে ওদের তৎপর হতে হবে। তবে এটা দলীয় চেষ্টা। ছেলেরা প্রতিটা ম্যাচে যেভাবে লড়াই করেছে, তা সন্তোষজনক।”