দেশের মাটিতে ওয়ানডেতে এরই মধ্যে সমীহ করার মতো দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। টেস্টেও আছে চমক জাগানো কিছু জয়। টি-টোয়েন্টিতেও ধীরে ধীরে পায়ের নিচে মাটি শক্ত করছে দলটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় সেই পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।
এই সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় ছিল না একটিও। এক সিরিজেই জয় হয়ে গেল চারটি। এর তিনটিতেই দল জিতেছে নিজেদের সর্বনিম্ন রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড গড়ে।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬০ রানে জিতে বাংলাদেশ। দলটির বিপক্ষে যা যে কোনো দেশের সর্বনিম্ন ও টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রানের স্কোর।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি দলকেই এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
“আমরা মনে করি, দেশের মাটিতে আমরা খুব ভালো একটি দল। এখানে কেউ আমাদের পেরিয়ে যাবে, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যারাই খেলতে আসবে আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ জানাব। আমরা প্রতিটি সিরিজই জিততে চাই।”
টানা দুটি সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সমীহ করার মতো দল হয়ে ওঠার সকল উপাদান দেখছেন মাহমুদউল্লাহ।
“যদিও র্যাঙ্কিংয়ে এর ছাপ নেই তবে আমরা মনে করি, টি-টোয়েন্টিতে খুব ভালো দল হয়ে ওঠার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের।”
২০০৬ থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৮০ ম্যাচ খেলে ২৩টিতে জেতে বাংলাদেশ। হার ৫৫টি, পরিত্যক্ত হয় দুটি ম্যাচ। এক যুগ টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রাম করা দলটি গত তিন বছর ধরে আছে উন্নতির পথে। এই সময়ে ২৭ ম্যাচের ১৫টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, হার ১২ ম্যাচে।
পরিসংখ্যান বলছে উন্নতির পথে আছে বাংলাদেশ। সেটা প্রমাণের আরেকটা সুযোগ আসছে আগামী মাসে; মিরপুরেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবে মাহমুদউল্লাহর দল।