৪-১ নাকি ৩-২?

‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’, চিরায়ত এই প্রবাদ আদতে সত্যি নয় সবসময়। এই যেমন অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ হেরে বসে আছে আগেই। শেষ ম্যাচ জিতলেও পাল্টাবে না সিরিজের ভাগ্য। তবে ‘ভালো’ দিয়ে শেষ করতে পারলে প্রাপ্তি কম নেই। স্বস্তি কিছুটা মেলে, সঙ্গী হয় আত্মবিশ্বাস। সিরিজের সামগ্রিক ফলাফলেও পড়ে প্রভাব। সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ আর সিরিজ হেরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া নামবে সেই শেষের ভালোর অভিযানে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2021, 04:44 AM
Updated : 9 August 2021, 04:44 AM

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে সোমবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ সন্ধ্যা ৬টা থেকে।

সিরিজ জয় বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই। তবে সিরিজের ব্যবধান ৪-১ আর ৩-২ হওয়ার মধ্যেও ফারাক অনেক। বাংলাদেশ চাইবে শেষ ম্যাচ জিতে স্মরণীয় সিরিজটি দাপটে শেষ করতে। অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া থাকবে সিরিজের ব্যবধান ভদ্রস্থ করার।

যথারীতি শেষ ম্যাচেও ভাগ্য গড়ে দেবে ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স। মন্থর ও টার্নিং উইকেটের কৌশল থেকে বাংলাদেশের সরে আসার কোনো কারণ নেই। দুই দলের বোলাররা তাই আবার কঠিন পরীক্ষা নেবেন ব্যাটসম্যানদের। যে দল সেই পরীক্ষায় এগিয়ে থাকবে খানিকটা, ম্যাচ জয়ের লড়াইয়ে তারা এগিয়ে যাবে অনেকটা।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের একমাত্র জয়টি পেয়েছে যেমন গত ম্যাচে সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের পাঁচ ছক্কা ও তার ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে।

বাংলাদেশের হয়ে গোটা সিরিজে এরকম ঝড়ো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। তবে ছোট ছোট অবদান ছিল অনেকের। বরাবরই অবশ্য এটিই বাংলাদেশের জয়ের রেসিপি। সিরিজের সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শের, সবচেয়ে বেশি উইকেট অস্ট্রেলিয়ারই জশ হেইজেলউডের। বাংলাদেশ তিন ম্যাচ জিতেছে দলীয় প্রয়াসে।

শেষ ম্যাচেও সম্মিলিত শক্তিতেই জয়ের লড়াইয়ে ছুটবে দল, ম্যাচের আগে বললেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।

“আমাদের এখন যে দল, সবাই পারফর্ম করছে। সবাই সবার ওপর ভরসা রাখছে, একজনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে না। এই জিনিসটা অনেক ভালো লাগে, কেউ কারও ওপর নির্ভর করছে না। সবাই নিজের ওপর ভরসা করছে। একজন গেলে অপরজন ধরছে।”

“এই জিনিসটা যতদিন থাকবে, দলকে জয় এনে দেওয়াটাও সহজ হবে। কারণ সবাই সবার দিক থেকে ইতিবাচক চিন্তা রাখে যে সুযোগ পেলে আমি সেরাটা দিয়েই দলকে জিতিয়ে আনব। এভাবে যখন ভাবতে থাকবে এবং একজনের দিকে তাকিয়ে থাকবে না, তখন আমাদের জন্য খেলাটা আরও সহজ হবে।”

বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম চার ম্যাচ খেলেছে একই একাদশ নিয়ে। কৌশলও ছিল প্রায় একই। কৌতূহল থাকবে, শেষ ম্যাচে সেখানে কোনো পরিবর্তন আনা হয় কিনা।

অস্ট্রেলিয়ার একাদশে পরিবর্তন এসেছে প্রতি ম্যাচেই। শেষ ম্যাচে দুটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছিল তাদের কৌশলেও। দুটিই কার্যকর হয়েছে। ড্যানিয়ের ক্রিস্টিয়ানকে তিনে খেলানো এবং অনিয়মিত অফ স্পিনার অ্যাশটন টার্নারকে বোলিংয়ে কাজে লাগানো। উইকেট না পেলেও চার ওভার নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন টার্নার। এছাড়াও মূল স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পার বিশ্রামে সুযোগ পেয়ে দারুণ বোলিংয়ে (৩/১৩) ম্যাচ সেরা হন আরেক লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন।

শেষ ম্যাচের আগে সোয়েপসন বললেন অ্যাশটন অ্যাগার, জ্যাম্পার সঙ্গে তাকে নিয়ে তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনারে একাদশ সাজানো উচিত অস্ট্রেলিয়ার।

“আমার মনে হয়, এটা এমন একটা কিছু (তিন স্পিনার), যা অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো কন্ডিশনে। ওদেরকেও আমরা দেখেছি, তিন স্পিনার নিয়ে খেলছে এবং প্রচুর ওভার স্পিনে করাচ্ছে। এই কন্ডিশনে ও উইকেটে তাদের এই কৌশল কাজে লেগেছে। আমাদের জন্যও তা কার্যকর হতে পারে। দেখা যাক…।”