মুস্তাফিজের কাটার শেখার চেষ্টা করছেন শরিফুল

দুজনই বাঁহাতি পেসার। বোলিংয়ের ধরনেও বেশ মিল আছে মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের। তবে বড় পার্থক্য একটি জায়গায়। সেখানে অবশ্য শুধু শরিফুল নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেই সবার চেয়ে আলাদা মুস্তাফিজ। তার ভয়ঙ্কর কাটার! মুস্তাফিজকে কাছ থেকে দেখে ও তার কাছ থেকে শিখে সেই মারণাস্ত্র রপ্ত করার চেষ্টা করছেন তরুণ শরিফুল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2021, 02:06 PM
Updated : 8 August 2021, 03:18 PM

মুস্তাফিজ তো অনেক দিন থেকেই সীমিত ওভারে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র। গত মার্চে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর শরিফুলও দ্রুত জায়গা করে নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলতি সিরিজে দারুণ বোলিংয়ে সেই জায়গাটা আরও পোক্ত করেছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার।
 
স্পিনারদের দাপটের এই সিরিজে বাংলাদেশের সফলতম বোলার যৌথভাবে এই দুই বাঁহাতি পেসারই। দুজনই নিয়েছেন ৭টি করে উইকেট। মুস্তাফিজ অবশ্য ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন অবিশ্বাস্যরকম কম, ৩.৫৬। তবে শরিফুলও খুব খরুচে নন, ৬.৩৮। স্ট্রাইক রেট তো মুস্তাফিজের (১৩.৭) চেয়ে শরিফুলেরই ভালো (১১.১)।
 
স্লোয়ার ও কাটার শরিফুলও করেন। তবে মুস্তাফিজের মতো এতটা কার্যকর নয় অবশ্যই। মুস্তাফিজের কাটার ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্তে ফেলার পেছনে তার সহজাত একটি ব্যাপারের বড় ভূমিকা আছে। তার কবজির যে নমনীয়তা ও ঝাঁকুনি, সেটার কারণেই ওই কাটার দুর্বোধ্য। শারীরিক এই ব্যাপার প্রকৃতিপ্রদত্ত।
 
সেখানে শরিফুলের কিছু করার নেই। তবে মুস্তাফিজের কাটারে বোলিং স্কিলের যে ব্যাপারটুকু আছে, তা আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করছেন বলে শরিফুল জানালেন বিসিবির ভিডিও বার্তায়।
 
“মুস্তাফিজ ভাইয়ের কাছে আমি শেখার চেষ্টা করছি যে উনি কিভাবে কাটার মারেন। চেষ্টা করছি অনুশীলনে। কিন্তু ম্যাচে এখনও চেষ্টা করিনি উনার মতো করে। উনার সিস্টেমটা, কাটারটা একদমই ভিন্ন ধরনের। আমি চেষ্টা করছি।”
 
“উনি সবসময় বলেন যে, মিরপুরে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য কাটারটা খুবই বিপদজনক। কারণ হালকা থেমে আসে, একটু টার্ন করে স্পিনারদের মতো। উনি এটাও বলেছেন যে কাটারটা বেশি বেশি ব্যবহার করতে।”
 
কাটার শেখার প্রক্রিয়া যখন চলছে, দুজনের সম্পর্কের উষ্ণতাও তখন বুঝে নিতে সমস্যা হয় না! শরিফুল বললেন, মুস্তাফিজের মতো একজনের সঙ্গ ও পরামর্শ তিনি দারুণ উপভোগ করছেন। “বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি খেলেছি মুস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে, এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। এখন জাতীয় দলে খেলছি। ওনার সঙ্গে বোলিং করার মজাই আলাদা। উনি সবসময় ইতিবাচক কথা বলেন। ব্যাটসম্যানকে খুব দ্রুত পড়তে পারেন। আমি যখন বোলিংয়ে আসি, তার আগেই আমাকে বলে দেন কোনটা করা উচিত, কোনটা ভালো, এসব।”
 
“এমন একজন অভিজ্ঞ কেউ যদি বলে দেন…আমি তো এতটা অভিজ্ঞ নই, উনি অনেক বড় ক্রিকেটার, তার পরামর্শগুলো নিলে কাজ খুব সহজ হয়। আমার খুব ভালো লাগে উনার সঙ্গে বোলিং করতে। আমি নিজেও অনেক সময় যখন তাকে ডাকি যে ‘ভাই কোনটা করলে ভালো হয়’, উনি পরামর্শ দেন।”
 
দুজনের দারুণ বোলিংয়ের এই সিরিজের শেষ ম্যাচ সোমবার। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের চেষ্টা করবে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া চাইবে ৩-২ করতে।