‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ লড়াইয়ে সাকিব

জিম্বাবুয়েতে স্বাগতিকদের তিন সংস্করণে হারানোর পেছনে সাকিব আল হাসানের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেই পারফরম্যান্সের জন্য ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2021, 09:42 AM
Updated : 8 August 2021, 09:42 AM

জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে থাকাদের নাম রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। যেখানে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

গত মাসে জিম্বাবুয়ের মাটিতে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। টেস্টে এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি সাকিব। তবে বল হাতে রাখেন বড় অবদান, নেন ৫ উইকেট।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান সাকিব। রান তাড়ায় ৯৬ রানের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে নিশ্চিত করেন সিরিজ। দারুণ বোলিংয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ ৮ উইকেট তারই, এক ম্যাচে নেন পাঁচ উইকেট। দুই বিভাগেই নিজেকে মেলে ধরে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জেতেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে নেন ৩ উইকেট, রান করেন কেবল ৩৭।

গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলেন মার্শ। মাস সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার জায়গা হয়েছে মূলত টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্সে। ওই সিরিজে ১৫২.০৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ২১৯ রান। বল হাতে ওভার প্রতি ৬.৭৬ রান দিয়ে ৮ উইকেট নেন তিনি। দুই বিভাগেই অস্ট্রেলিয়ার সফলতম ছিলেন এই অলরাউন্ডার।

ক্যারিবিয়ান লেগ স্পিনার ওয়ালশ আলো ছড়ান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি সিরিজেই। তিন ওয়ানডেতে ওভার প্রতি ৪.১৪ রান দিয়ে নেন ৭ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ১১.৬৬ গড়ে তার প্রাপ্তি ১২ উইকেট। দুই সিরিজেই দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।

মেয়েদের জুলাই মাসের সেরার লড়াইয়ে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথিউস ও স্টেফানি টেইলর। তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্যজন হলেন পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।

গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার পাশপাশি দুই উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন ম্যাথিউস। মোট ১৬৮ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন সিরিজ সেরা।

ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক টেইলর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণেই ছিলেন উজ্জ্বল। ওয়ানডেতে এক সেঞ্চুরিতে করেন ১৭৫ রান, উইকেট নেন তিনটি। আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটার ও অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে তিনি।

ফাতিমা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এই পেসারের প্রাপ্তি ১১ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে তার ৪ উইকেট সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দুই সংস্করণে ব্যাট হাতেও রাখেন অবদান।

এই বছর থেকেই আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।