টি-টোয়েন্টিতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সবই বিশ্বকাপে এবং খুব একটা লড়াই করতে না পেরে হেরেছিল সবকটিই। দেশটির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ জানিয়ে দিল, টি-টোয়েন্টিতেও উঠে আসছে তারা।
১২৮ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে এই লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পুরুষদের ক্রিকেটে তাদের আগে এই সংস্করণে দেড়শর নিচে কোনো লক্ষ্য তাড়ায় চার বা এর কম উইকেট হারিয়ে হারেনি কোনো দল। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৫৮; গত সপ্তাহে গায়ানায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চার বা এর বেশি উইকেট হাতে রেখে সবচেয়ে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে না পারার বিব্রতকর রেকর্ডও এখন অস্ট্রেলিয়ার। ২০০৯ সালে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ উইকেট হাতে রেখেও ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় হেরেছিল নিউ জিল্যান্ড।
১২৭ এত ছোট পুঁজি নিয়ে এর আগে কখনও টি-টোয়েন্টিতে জেতেনি বাংলাদেশ। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩১ রান ছিল আগের রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়াও এর চেয়ে ছোট রান তাড়ায় হারেনি কখনও। প্রথম ম্যাচের ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় হারই ছিল তাদের আগের রেকর্ড। তিন দিনের মধ্যে দুটি রেকর্ড লেখা হলো নতুন করে।
৪ নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
৮ টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় টানা আট ম্যাচে হারল অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে সবশেষ লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল তারা। টি-টোয়েন্টিতে দুটি দেশ জিম্বাবুয়ে (১০ হার ২০১০-২০১৩ ও ২০১৬-২০১৯) এবং শ্রীলঙ্কা (৯ হার ২০১৯-২০২১) রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে টানা বেশি ম্যাচে হেরেছে।
৫ গত ১২ মাসে খেলা পাঁচ সিরিজেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড, ভারত, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই সব সিরিজে খেলা ১৯ ম্যাচের কেবল পাঁচটি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ খোয়ানোর আগে জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ।
৯ মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে দিয়েছে মাত্র এই রান। পুরুষ টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় মিতব্যয়ী বোলিং। অন্য দুই জনও বাঁহাতি বোলার। ২০১২ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই আসরেই নিজেদের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং দেখে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেবল ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ।
১ উইকেটে ২০ পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার রান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভারে দেশটির সর্বনিম্ন। আগের সবচেয়ে কম রান ছিল ২ উইকেটে ২১, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
১ ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেছেন ন্যাথান এলিস। অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বোলার হিসেবে এই সংস্করণে পরপর তিন বলে উইকেট নিলেন তিনি। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ব্রেট লি। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই স্বাদ পান অ্যাশটন অ্যাগার।