এরপরই জমে ওঠা লড়াইয়ে জল ঢেলে দেয় বৃষ্টি। ৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ডের তৃতীয় দিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে কেবল ১১.১ ওভার। কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকরা করেছে ২৫ রান। ররি বার্নস খেলছেন ১১ রানে, ডম সিবলি ৯।
বৃষ্টির বাধায় শুক্রবার ভেসে গেছে দিনের প্রায় অর্ধেক সময়ের খেলা।
৪ উইকেটে ১২৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত প্রথম ইনিংসে করে ২৭৮। আগের দিন ফিফটি করা রাহুল খেলেন ৮৪ রানের লড়াকু ইনিংস। দাপুটে ব্যাটিংয়ে জাদেজা করেন ফিফটি। শেষ দিকে ২৮ রানের ছোট্ট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
দিনের শুরুতেই রিশাব পান্তকে ফিরিয়ে দেন রবিনসন। পরপর দুই বলে তাকে চার-ছক্কা মেরে শর্ট কাভারে ধরা পড়েন ভারতের কিপার-ব্যাটসম্যান।
চার মেরে রানের খাতা খোলেন জাদেজা। দ্রুতই জমে যায় তার সঙ্গে রাহুলের জুটি। দারুণ এক ডেলিভারিতে ভারতীয় ওপেনারকে কট বিহাইন্ড করে ৬০ রানের জুটি ভাঙেন অ্যান্ডারসন। ২১৪ বলে খেলা রাহুলের ৮৪ রানের ইনিংস গড়া ১২ চারে।
এই উইকেটে কুম্বলেকে ছাড়িয়ে যাওয়া অ্যান্ডারসন পরের ওভারে নেন শার্দুল ঠাকুরের উইকেট। ২০৫ রানে ৭ উইকেট হারানো ভারত লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় যায় পৌনে তিনশ পর্যন্ত।
শেষের দিকে ৩৪ বলে ২৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন বুমরাহ। মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে দশম উইকেটে গড়েন ৩৩ রানের জুটি।
উইকেটে এখনও বোলারদের জন্য বেশ সহায়তা আছে। সেটা কাজে লাগাতে উন্মুখ ছিলেন ভারতীয় পেসাররা। কিন্তু বৃষ্টির জন্য খুব একটা সুযোগ পাননি তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৮৩
ভারত প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১২৫/৪) ৮৫.৫ ওভারে ২৭৮ (রোহিত ৩৬, রাহুল ৮৪, পুজারা ৪, কোহলি ০, রাহানে ৫, পান্ত ২৫, জাদেজা ৫৬, শার্দুল ০, শামি ১৩, বুমরাহ ২৮, সিরাজ ৭*; অ্যান্ডারসন ২৩-৮-৫৪-৪, ব্রড ২০-৩-৭০-০, রবিনসন ২৬.৫-৬-৮৫-৫, কারান ১৫-২-৫৭-০)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১১.১ ওভারে ২৫/০ (বার্নস ১১*, সিবলি ৯*; বুমরাহ ৩-০-৬-০, সিরাজ ৫.১-২-১০-০, শামি ৩-১-৯-০)।